পাতা:দশোপদেশ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بسیار حساسسه ধৰ্ম্ম সাধন কর, যশ ও মানের স্প.হ রাখিও না। ধর্মের পথ প্রথমে সঙ্কীর্ণ ও তিমিররিত বোধ হয় বটে, কিন্তু মনুষ্য যতই তাহাতে প্রবেশ করে, ঈশ্বরপ্রসাদে তাহা ততই প্রশস্ত আলোকময় ও সুখকর হইয়া আইসে । মনুষ্য যদি চেস্টা করে তবে আপনার নিকৃষ্ট প্রবৃত্তির উপর অভাবনীয় অসাধারণ ক্ষমতা লাভ করিতে পারে। ধৰ্ম্ম-মঞ্চের ষে স্থান অতি দূরবর্তী ও দুর্গম বলিয়া বোধ হয়, ভক্তি ও সাধন প্রভাবে তাহ নিকট ও সুগম হইয় উঠে। হে মৰ্ত্ত্য মনুষ্য । ঐহিক মান সস্ত্রম খণতি প্রতিপত্তি প্রভৃতি ক্ষণভঙ্গর বিষয়ে তুমি এত লালায়িত কেন ? বালকের ন্যায় ক্ষুত্র বিষয়ে লালায়িত হইয়া কেন মৃত্যুমুখে প্রবেশ করিতেছ? তুমি এখানকার “চারি দিনের মুখের” জন্য কি তাপনার অমৃত ধাম ভুলিয়া যাইৰে ? হে অমর জীব ! তুমি এখানে কিছু দিনের জন্য তালিয় আপনাকে কেন কলুষিত করিতেছে ? তুমি আপনাতে সত্য সুন্দর মঙ্গল অমৃত বীজ বপন করিয়া তাহাতে যত্নবারি সেচন কর, তাহার ফল তুমি অনন্তকাল উপভোগ করিবে । আদ্যকর দিন ইহ জীবনের শেষ দিন জানিয়ণ সযত্নে তাপন কৰ্ত্তব্য সাধ্যানুসারে সম্পন্ন কর । কৰুণাময় জগদীশ্বরের প্রতি স্থির নির্ভর করিয়া সংসারের কার্য্য কর । র্তাহার মঙ্গল-হস্ত সকল ঘটনাতেই দেখ । অমৃতের জন্য—ধর্মের জন্য তোমার ক্ষুধা বৰ্দ্ধমান হউক । প্রেমণকর জগৎ পিতার নামে তোমার হৃদয় নয়ন বিগলিত হউক । তাহার প্রিয় কাৰ্য্য সাধন করিতে তোমার আনন্দ বৰ্দ্ধিত হউক যে কোন দেশে যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক ঈশ্বরের—ধৰ্ম্মের রাজা বিস্তত হয়, তাহা যেন তোমার পরমাত্নাদের কারণ হয়। সেই সুখ-রাজ্য বিভার-কারীর প্রতি ঈর্ষ্য ষেন ভ্ৰমেও তোমার মনে না হয়, আমার দ্বারা এ কার্য্যটি সমাহিত হইলে আমার কি যশোলাভ হইত, এ রূপ অক্ষেপ কেশন ক্রমেই যেন তোমার হৃদয়ে স্থান না পায় । বরং সেই শুভকারী বাক্তিকে প্রেম-ভরে সাহায্য করিতে, তাহাকে ভ্রাত। মলিয়। আলিঙ্গন করিতে যেন তোমার আন্তরিক ইচ্ছা জন্মে। "