পাতা:দশোপদেশ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

اسسسه 3 سحبسه ধারণ করিয়া সকলকে বিন্মিত ও চমৎকৃত করিতেছে, তথম সেই জ্যোতির জ্যোতিঃ আদি শক্তি মহাৰল বিশ্বকার্য্যের কারণ পরব্রহ্মের মহান্ত ভাৰ উপলব্ধি করিয়া কাহার শরীর মা রোমাঞ্চিত হয় ? কোলু আত্মা মা স্তম্ভিত হইয়া উহাকে “ ভয়ানং ভয়ং ভীষণং ভীষণীনাং " বলিয়া স্তব করিতে থাকে ? মহীনের সহিত ক্ষুদ্রের এমনি সম্বন্ধ, যে মহৎ বস্তু দেখিলে ক্ষুদ্র পদার্থ আপন হইতেই তাহার বশীভূত হইয় পড়ে। মহান সূর্ঘ্যের আকর্ষণ প্রভাবে পৃথিবী তাহার অনুগত হইয়া রহিয়াছে, নদ নদী সকল মহা সমুদ্র অভিমুখে ধাবিত হইতেছে ; মহাপ্রতাপশালী রাজার সন্নিধানে হীন বল প্রজাঙ্গল বশীভূত হইয়া রহিয়াছে ; আমারদিগের ক্ষুদ্র জীবাত্মা সকল সেই অজর অমর মহান আত্মার মহত্ত্ব ও অমৃতত্ব উপলব্ধি করিয়া আপন হইতেই উপস্থার পদানত হইতেছে। র্তাহাকে “সৰ্ব্বেষাং ভূতানামধিপতিঃ সৰ্ব্বেষাং ভূতানাং রাজল “ জানিয়া উtহারই অজ্ঞাধীন হইয়া রহিয়াছে । ’ সহজ-জ্ঞান, আত্ম-প্রত্যয়-প্রভাবে যে পূর্ণ জ্ঞাস পূর্ণ মঙ্গল পরমেশ্বরের অস্তিত্ব অনুভব করিয়া, মম্বয আপনাকে অপূর্ণ ও পরতন্ত্র বলিয়া বিশ্বাস করে, বহিজগতে র্তাহীরই মহানৃ-ভৰি মহতী শক্তি দুনির্বাধ্য শাসন-প্রণালী প্রত্যক্ষ করিয়া আপন হইতেই তাহার শরণগত হয় । সেই জন্য পৃথিবীর সৰ্ব্ব দেশে, সৰ্ব্ব জাতি মধ্যে, সকল সময়েই সমগ্র মানবকুল পরমেশ্বরের মহীয়সী কীৰ্ত্তি কলাপ সন্দর্শন করিয়া এবং আপনাদের লঘুত্ব ও ক্ষুদ্রত্ব অনুভব করত ভয় বিস্ময়ে তাহারই পূজা, তাহারই সেৰ করিয়া অালিতেছে। জ্ঞান চক্ষুর অপরিস্কট অবস্থাতে যখন এই সমুদায় জড় আবরণ ভেদ করিয়া সেই মূল শক্তিকে উপলব্ধি করিতে পারে লাই, সৰ্ব্বভুতে র্তাহার অৰিভাৰ প্রত্যক্ষ প্রতীতি করিতে সমর্থ ছয় নাই, তখনও বিস্মিত চমৎকৃত হইয়া প্রাণহীন চন্দ্রস্মধ্যে, অমল সাগর প্রভৃতি প্রকাও পদার্থ সকলকে মহা ঈশ্বর বোধে পূজা চনা করিয়াছে। কালক্রমে মন্থয্যের যত জ্ঞান চক্ষু প্রস্ফুটিত b