পাতা:দস্যুরাজ্যের লাট - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ কল্প ৫৯ মিঃ ব্লেক হতাশ ভাবে পাদরীর মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন ; তাহার মুখ অস্বাভাবিক গম্ভীর, তাহার চক্ষুতে উদ্বেগ ঘনাইয়া আসিয়াছিল । তিনি মাকড়সাকে ধরিয়া তাহার খ্ৰীষ্টতার উপযুক্ত প্রতিফল দিতে পারিবেন এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ ছিলেন ; কিন্তু ঘটনাচক্রে আকস্মিক পরাজয়ের আশঙ্কায় তাহার মন দমি। গেল, তিনি অত্যন্ত নিরুৎসাহ হইলেন। তিনি অভূত অৎপরতার সহিত মাকড়সার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করিয়াছিলেন, জয়লাভে তাহার বিন্দুমাত্র সনেহ ছিল না ; কিন্তু সহসা এ কি বিভ্ৰাট ! তিনি বুঝিতে পারিলেন সেই আতঙ্কবিহবল, পককেশ নিরপরাধ বৃদ্ধ পাদরীর জীবনের বিনিময়ে তাহাকে জয়লাভ করিতে হইবে । বৃদ্ধ জীবিত থাকিতে মাকড়সাকে ধরিবার চেষ্টা বিফল হইবে ; এমন কি, যদি তিনি অস্ত্রত্যাগ না করিলে মাকড়সা পাদরীকে । হত্যা করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়া থাকে তাহা হইলে তিনি। হয় ত অস্ত্ৰ ত্যাগ করিতেও বাধ্য হইবেন ! মাকড়সা পাদরীর পশ্চাতে দাড়াইয়া তাহার জীণ পাজরে এরাপ জোরে চাপ দিতে লাগিল যে, বৃদ্ধের পাজরের অস্থি চূর্ণ হইবার উপক্রম হইল ; সঙ্গে সঙ্গে পিস্তলের নল তাহার ঘাড়ে চাপিয়া বসিল ! তিনি যন্ত্রণায় আৰ্ত্তনাদ করিতে লাগিলেন । তাহার শ্বাসরোধের উপক্রম হইল । ; তাহার উভয় চক্ষু কপালে উঠিল। তিনি বুঝিতে পারিলেন -সেই পিশাচের কবল হইতে । তাহার নিষ্কৃতি নাই ! মাকড়সা বলিল, “গোয়েন্দা , মুহুর্তে গর্জন করিয়া সাহেবতুমি এই তোমার পিস্তল দূরে ফেলে দাও, আমার আদেশ অবিলম্বে পালন হাতের করএই ভয়কম্পিত, ছল বৃদ্ধ ধর্মযাজককে হত্যা করবার জন্যে আমার । একবিন্দু ও আগ্রহ নেই ; কিন্তু তুমি আমার আদেশ অগ্রাহ্য করিলে মাকড়সার কথা শেষ হইবার পূর্বেই বৃদ্ধ পাদরী তাহার নিভ নেত্র মি: স্বরে , নামিঃ ব্লেক ! রেকের মুখের উপর স্থাপিত করিয়া সংযত বলিলেন“, আপনি উহার আবদার গ্রাহ করিবেন না। আমি এই নরপ্রেতের আক্রমণে কষ্ট পাইতেছি সত্যকিন্তু আমি সকল অবস্থা চিন্তা করিয়া কৰ্ত্তব্য স্থির।