পাতা:দাক্ষিণাত্য.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক । ] দাক্ষিণাত্য নাই এখনও এ নারী-জাতিটাকে । এ জাতি কাঠুরিয়া হ’তেও সাংঘাতিক ! কাঠুরিয়া শুদ্ধ মূল কেটেই ক্ষান্ত হয় ; এ জাতি মূল বজায় রেখে ভিতরে ভিতরে জেরে দেয় } ফিরোজ। আমি একবার দেখবো মা নারীর সে প্রচ্ছন্ন মূৰ্ত্তিটা! আমার বিশ্বাস হয় না। মা, নারী এত নিকৃষ্ট ! যে জাতির সর্ব অবয়বের একটা স্থানেও কঠিনতা নাই, যাদিকে তৈরী করুবার সময় খোদার প্রাণে একবিন্দু ক্রুদ্রতা-কৃপণতা ছিল ব'লে বোধ হয় না, যে জাতির মধ্যে মাধুরি মাময়ী স্বভাবকোমলা মা আমার তুমি, তাদের মধ্যে এমন একটা কিছু চাপা থাকৃতে পারে না, যা জগতের সহিষ্ণুতার অতীত। সাহারা। ফিরোজ ! তা হ’লে আমি কি এখন এই বুঝবো যে, আমি তোমার বিবাহ দিই নাই--তোমায় বিলিয়ে দিয়েছি ? ফিরোজ। অভিমান করছে। কেন মা ! এ কথা যে এখন আর অস্বীকার করুবার উপায় নাই যে, আমি যেমন তোমার পুত্ৰ, তেমনি এখন তারও স্বামী । সাহারা । যাও ফিরোজ ! তোমাতে আর আমার কোন দাবী নাই ; তুমি আর এখন আমার পুত্র নও, তুমি এখন তারই স্বামী। এ কথাটা সেও একদিন বলেছিল আমার মুখের ওপর। যাক-আক্ষেপের কিছু নাই,-এ ভগবানের শাস্তি। মা-জাতিটা বড়ই এক চোখে ; সে সবাইকে ফাকি দিয়ে সন্তানের সুখ অন্বেষণ ক’রে বেড়ায় । মরেও তেমনি এই রকম আঁতের ঘায়ে, ভিতরে ভিতরে শুকিয়ে শুকিয়ে । যাও ফিরোজ ! যাই হোক আমার, সেজন্য তুমি নির্ভন্ন ; আমি মারে ম'রেও তোমায় আশীৰ্ব্বাদই করবো। তবে তোমার সঙ্গে দেখা শোনা আমার এই পৰ্যন্ত । আমি ফেটে যাবে তোমার আদর্শনে, তবুও পাপ দিলী আর যাবো না। পুত্রবধুর ওপর প্রভুত্ব হারাতে আমি পারবো না। এ গৌরব আমার ( , ; )