পাতা:দাক্ষিণাত্য.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম গর্ভাঙ্ক । ] দাক্ষিণাত্য মহম্মদ। বিবেক কি এ কথাটা বলে নাই মূখী, বৃক্কাকে ছাড়তে গেলে নিজেকে বদল দিতে হবে ? জাফর। বলেছিল। আর এও বলেছিল আমার জীবন হ’তে বুক্কার জীবন অনেক মূল্যবান ; যদি বদলই হয়, কাচ যাবে-কাঞ্চন থাকবে। মহম্মদ। আমি তোমায় হত্যা করবো । জাফর। কাচ নিয়ে সন্তুষ্ট হ’তে হয় হােন। মহম্মদ । এখনও বুক্কাকে ধ’রে দাও, মার্জনা করছি। জাফর। আবার !! আর না সম্রাটু! একবার চাকরীর ভয় দেখিয়ে যা-না তাই করিয়ে নিয়েছেন, আর মার্জনার লোভ দেখাবেন না । মহম্মদ । বিশ্বাসঘাতক । জাফর। ও বিশেষণটা আমাতে ছিল না। সম্রাটু ! শিখেছি আপনার QሻCዏ ] মহম্মদ । আমার দেখে ? জাফর। র্যার ওপর সমস্ত ভারতবর্ষের ভার দিয়ে বিশ্বাস, তিনি যদি তার ভেতর লুকোচুরি খেলেন, বিচারস্থলে ব'সে আত্মপর বিবেচনায় আপনার কোলে ঝোল টানেন, আমাদের আর কতখানি প্ৰাণ—কতটুকু কাজ হাতে ? কি যায়ু আসে তাতে ? ও বিশ্বাসঘাতক বিশেষণ আমাদের গ্লানি নয়-মৰ্য্যাদা ! মহম্মদ। বেইমান ! [অস্ত্ৰ ধরিলেন ।] গঙ্গু । [ বাধা দিয়া ] মাৰ্জন করুন সম্রাট! ছেলেমানুষ-বুঝতে পারে নাই । জাফর। না সম্রাট! আমি বুঝেই ছেড়েছি। না বুঝলে ছাড় তুম না। এ বোঝা আজকাল এত শক্ত নয় যে বুক্কাকে আপনার সামনে ধ’রে দিলে সে তো আর বিচার পাবে না, পাবে ব্যভিচার । ( ११ )