বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দায়ে খুন - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
দারোগার দপ্তর, ৮৩ সংখ্যা।

যে বেতন প্রদানে সম্মত আছেন, তাহার দ্বিগুণ বেতনে আমি এই স্থানেই একটা চাকরী প্রাপ্ত হইয়াছি। সুতরাং আপনাদিগের প্রদত্ত চাকরী গ্রহণ করিতে পারিলাম না বলিয়া, আমার অপরাধ মার্জ্জনা করিবেন।”

 পত্র লেখা সমাপ্ত হইলে মাণিকচাঁদ একখানি অর্দ্ধ আনা মূল্যের খাম আমার হস্তে প্রদান করিলেন। সেই খামের ভিতর আমার লিখিত পত্রখানি পূরিয়া উহাতে শিরোনাম লিখিয়া সেই টেবিলের উপর রাখিলাম। টেবিলের উপর একটা পাত্রে একটু জল রাখাছিল, মাণিকচাঁদ নিজে তাঁহার অঙ্গুলিতে একটু জল লইয়া আমার সম্মুখে উহা বন্ধ করিয়া দিলেন, এবং আমাকে কিছু না বলিয়া তাঁহার দ্বারবান‍্কে ডাকিলেন। সে পূর্ব্ব হইতে সেই ঘরের বাহিরে বসিয়াছিল, ডাকিবামাত্র সে সেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করিল। মাণিকচাঁদ বাবু আমাকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া সেই পত্রখানি সেই দ্বারবানের হস্তে প্রদান করিলেন ও কহিলেন, “এই পত্রখানি এখনই তুমি ডাকঘরে দিয়া আইস।”

 দ্বারবান্ দ্বিরুক্তি না করিয়া, সেই পত্র হস্তে দ্রুতপদে সেই ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল। সে দিবস আর যতক্ষণ আমি সেই স্থানে ছিলাম, তাহার মধ্যে সেই দ্বারবানকে আমি আর দেখিতে পাইলাম না।

 দ্বারবান্ প্রস্থান করিলে পর, মাণিকচাঁদ বাবু আমার প্রদত্ত সেই নিয়োগ-পত্র ও বোম্বাইয়ের যে পত্রখানি আমি তাহার হস্তে প্রদান করিয়াছিলাম, তাহা তিনি তাঁহার টেবিলের দেরাজের ভিতর বন্ধ করিয়া রাখিলেন, এবং আমাকে কহিলেন, “এগুলি এখন আমার নিকট রহিল।”