অসুস্থ বোধ হইতেছে। তালিকাখানি এখন আমার নিকট থাকিল, আমি সময়মত উহা দেখিয়া রাখিব। আপনি চারিদিবস পরে পুনরায় আসিবেন, সেই দিবস সমস্ত কার্য্যের বন্দোবস্ত ঠিক করিয়া দিব।”
আমি তাঁহারই আদেশ-অনুযায়ী চারিদিবস পরে, অর্থাৎ গত কল্য তাঁহার নিকট পুনরায় গমন করিয়াছিলাম। কল্যও তিনি আমাকে এই বলিয়া বিদায় করিয়া দিয়াছেন, “আমি সেই তালিকাখানি এখন পর্যন্তও উত্তমরূপে দেখিয়া উঠিতে পারি নাই। আপনি পরশ্ব তারিখে পুনরায় আগমন করিবেন, সেই দিবস উল্লিখিত কার্য্যের সমস্ত বন্দোবস্ত ঠিক করিয়া ফেলিব।”
মহাশয়! আমি আমার এই চাকরীর অবস্থা কিছুই বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছি না। আমি প্রতিদিন মাণিকচাঁদ কর্ত্তৃক কার্য্যে নিযুক্ত হইতেছি, বা কোনরূপ জুয়াচোরের হস্তে পতিত হইয়া কোনরূপ বিপদ্গ্রস্ত হইবার পথ প্রসারিত করিতেছি; তাহার কিছুই আমি বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছি না। এই নিমিত্ত আমি আপনার পরামর্শ লইবার মানসে আপনার নিকট আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি, এবং এ পর্যন্ত যেরূপ অবস্থা ঘটিয়াছে, তাহা যতদুর সম্ভব আমি মনে করিতে পারিয়াছি, তাহা আপনার নিকট আমি বিবৃত করিলাম। এখন মাণিকচাঁদের আদেশ আমাকে প্রতিপালন করিতে হইবে, অর্থাৎ আগামী কল্য পুনরায় আমাকে সেই স্থানে যাইতে হইবে। এরূপ অবস্থায় আপনি আমাকে যেরূপ উপদেশ প্রদান করিবেন, সেই উপদেশই আমি শিরোধার্য্য করিয়া, আপনার আদেশমত কার্য্য করিতে প্রবৃত্ত হইব।