মাড়োয়ারীর কথা শুনিয়া আমি কহিলাম, “আপনি যাহা বলিতে চাহেন, অনায়াসেই তাহা আমাকে বলিতে পারেন। আপনার সমস্ত কথা শ্রবণ করিয়া, যদি বুঝিতে পারি, আমার দ্বারা কোনরূপে আপনার উপকার হইবার সম্ভাবনা, তাহা আমি করিতে প্রস্তুত আছি।”
আমার কথা শুনিয়া সেই মাড়োয়ারী বলিতে আরম্ভ করিল, “মহাশয়! আমার নাম বালমুকুন্। আমি বাল্যকাল হইতে ব্যবসা-কার্য্য ব্যতীত অপর কোন কার্য্য শিক্ষা করি নাই। এ পর্যন্ত ব্যবসা-কার্য্যেই নিজের দিন অতিবাহিত করিয়া আসিতেছি; কিন্তু আপন দুরদৃষ্ট বশতঃ এ পর্য্যন্ত নিজে কোনরূপ কারবার করিতে সমর্থ হই নাই, চিরকালই পরের অধীনেই কার্য্য করিয়া আসিয়াছি। এই কলিকাতা সহরে অনেক দিবস হইতে অবস্থিতি করিয়া কোন একটী প্রধান মাড়োয়ারীর সমস্ত কার্য্য আমি নিজে নির্ব্বাহ করিয়া আসিতেছিলাম। আমি যতদিন পর্য্যন্ত তাঁহার কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছি, সেই পর্য্যন্ত কোনরূপেই তাঁহার একটামাত্র পয়সাও লোকসান হয় নাই; বরং দিন দিন আমি তাঁহার কার্য্যের উন্নতি করিয়াই আসিতেছিলাম। আমি কলিকাতায় থাকিতাম সত্য; কিন্তু ভারতবর্ষের নানাস্থানে তাঁহার এক একটা ফারম ছিল। আমি কলিকাতায় থাকিয়া, সেই সমস্ত ফারমের কার্য্য নির্ব্বাহ করিয়া আসিতেছিলাম। এই সকল ফারম হইতে আমার মনিব যথেষ্ট অর্থ সংগ্রহ করিয়া তাঁহার দেশে তিনি এখন একজন বড়মানুষের মধ্যে পরিগণিত হইয়াছেন। তিনি অর্থের যথেষ্ট সংস্থান করিয়াছেন সত্য; কিন্তু তাঁহার অবর্ত্তমানে সেই অর্থ ভোগ করিতে