পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি (ক) খাস ছৈত্রী প্রাচীন পুরাবৃত্ত ইতিহাসাদিতে নেপাল উপত্যকা ও কাশ্মীরের মধ্যবর্তী দেশ ‘খাস’ নামে উল্লিখিত হইয়াছে। নেপালবাসী ‘খাস’ গণ সেই ‘খাসিয়া' নামে পরিচিত খাস দেশবাসিগণের বংশধর অথবা কোন স্বতন্ত্র জাতি ‘বিশেষ, তাহা সঠিক নিরূপণ করিয়া বলা যায় না। অনেকে অনুমান করেন যে হিন্দু ঔপনিবেশিকগণ ও পার্বত্য সুন্দরীদিগের একত্র সংমিশ্রণের ফলে যে মিশ্র জাতি উৎপন্ন হইয়াছিল তাহারাই ‘খাস’ নামে অভিহিত হইয়াছে। | ‘খাস’ শব্দ সম্ভবতঃ পাহাড়িয়া খসনু’ শব্দ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। খস’ শব্দে পতন বা মৃত্যু হওয়া বুঝায় সুতরাং তামান হয় যে, যে সকল পার্বত্য স্ত্রীপুরুষ সমতল প্রদেশগত মার্জিতরুচি ও বৈদেশিকগণের রূপ গুণের মােহাকর্ষণ হইতে আপনাদিগকে দূরে রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিল তাহাবাই অবজ্ঞাভরে এ নূতন সৃষ্ট মিশ্র জাতিটিকে ‘খাস বা পতিত আখ্যা প্রদান করিয়াছিল। | হিন্দু ঔপনিবেশিক ব্রাহ্মণগণ, কৃত কর্মের প্র য়শ্চিত্ত বিধানাথ কর্তব্যবােধে অথবা প্রণয়িনীদিগের মনস্তুষ্টি সাধন মানসে এই সকল ‘খাস’ নামে পরিচিত সন্তান সন্ততিগণকে, ও হিন্দুধর্মে দীক্ষিত পার্বত্য বীরগণকে ‘জনই বা উপবীত | গ্রহণের অধিকার প্রদান করিয়াছিলেন।

  • সমতল প্রদেশাগত হিন্দু, রাজপুত ক্ষত্রিয় প্রভৃতি।