পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুর্খা জাতির বিবরণ প্রদান করে, বাস্তবিকপক্ষে “গুর্খা' নামে কোনও জাতির অস্তিত্ব নাই।। নৃতত্ত্ববিদ পণ্ডিতগণ বিশেষ অনুসন্ধান, পৰ্যবেক্ষণ ও গবেষণাদিদ্বারা স্থির করিয়াছেন যে গুখালিগণের মস্তক ও মুখমণ্ডল (বিশেষতঃ গণ্ডাস্থিদ্বয়ের মধ্য প্রদেশ) বিশেষ চওড়া, ললাট প্রশস্ত ও ঊর্ধদিকে সঙ্কীর্ণমা, মুখগহ্বর বৃহৎ, নাসিকা দীর্ঘ ও উন্নত অথচ মূলদেশে অতি খ, চক্ষু দুটী যেন তিৰ্য্যগভাবে সন্নিবেশিত, আকৃতি খৰ্ব, দেহ সুদৃঢ়, মাংসল ও পেশল। | দেশের সাধারণ স্বাস্থ্যাবনতিবশতঃই হউক অথবা রক্ত সংমিশ্রণবশতঃই হউক বর্তমানে গুখগণের শারীরিক আকৃতি ও মুখাবয়বের যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটিয়াছে। কিন্তু তথাপিও এখনও ইহাদিগের শৌর্য, বীৰ্য্য, সাহস, তেজ পূৰ্ব্ববৎ বৰ্তমান রহিয়াছে, ইহাই সুখের বিষয়। | ইহারা সহজে কোপনশীল এবং কোন কারণে ক্রুদ্ধ হইলে আততায়ী বা অবমাননাকারীর বক্ষে ছুরিকাঘাত করিতে বিন্দুমাত্রও ইতস্ততঃ বােধ করে না। ইহারা সাধারণতঃ সরল, অমায়িক, বিশ্বাসী এবং আদৌ মিথ্যা বলিতে অভ্যস্ত নহে।।

  • নেপালের অন্তঃপাতী কোন এক পৰ্বতগুহায় গােরনাথ নামে এক মুনি তপস্যা করিতেন, তাহারই নাম হইতে ‘গুর্খা” শব্দের উৎপত্তি ইয়াছে। বর্তমানে ঐ স্থলে গােরক্ষনাথের মন্দির অবস্থিত।