পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি ক্রীড়ারত অল্পবয়স্ক বালক বালিকাগণ যখন শিশু ভ্রাতা ভগ্নীদিগকে পৃষ্ঠদেশে স্থাপন করিয়া ইতস্ততঃ দৌড়াদৌড়ি করিয়া বেড়ায়, তখন দেখিতে অতি সুন্দর দেখায়। ইহারা অতি কৰ্ম্মঠ এবং আদৌ পরিশ্রম বিমুখ নহে। বহুদেশের সাধারণ লােকের মত ইহারা কুলীগিরিকে হীনকাৰ্য বলিয়া বিবেচনা করে না এবং আবশ্যক বােধে ব্রাহ্মণ, ছৈত্রী জাতীয় স্ত্রী পুরুষগণও রাস্তায় মাটি টানা ও পাথর ভাঙ্গার কাজ করিতে কোনরূপ লজ্জা বা সঙ্কোচ বােধ করে । স্ত্রীলােকগণের মধ্যে যাহার অঙ্গে বহু স্বর্ণালঙ্কার আছে, সেও আবশ্যকবােধে অম্লান বদনে কুলীর কাৰ্যে প্রবৃত্ত হয়, এবং নিজে উপার্জনক্ষম থাকিতে অলস ভাবে বসিয়া স্বামীর অনুধ্বংস করিতে যথার্থই ঘৃণা বােধ করে। নিতান্ত রুগ্ন ও অক্ষম ব্যতীত কাহাকেও ভিক্ষাবৃত্তি দ্বারা জীবিকানির্বাহ করিতে দেখা যায় না। পার্বত্য স্ত্রীপুরুষের নৈতিক চরিত্র সম্বন্ধে অনেকে নানাকথা বলিয়া থাকেন, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে অকলুষিত পল্লীজীবনের পবিত্র ছবি প্রত্যক্ষ সন্দর্শন না করিলে স্বভাব সরলা পার্বত্য সুন্দরীদিগের নিস্পাপ চরিত্রের স্বরূপ উপলব্ধি করিতে পারা যায় না। বৈদেশিক হাবভাবে অননুপ্রাণিত অশিক্ষিত দীন পল্লীবাসীর পর্ণকুটীরে অনুসন্ধান করিলে দেখা, যায় যে সেখানেও নারী, স্নেহময়ী মাতা, পতিপ্রাণা পত্নী,