পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭ | ধর্ম বিশ্বাস মন্ত্র পাঠ ও বিবাহাদিতে পৌরহিত্য কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়া থাকে। পুরােহিতগণের মধ্যে সাধারণ লিম্বুগণ, বিজুয়াদিগকে বিশেষ ভয় করিয়া চলে, কারণ এরূপ সংস্কার আছে যে গৃহ হইতে বিজুয়া ক্ষুন্নমনে প্রস্থান করিলে গৃহস্বামীর অচিরে সর্বনাশ সংসাধিত হয়। লিম্বদিগের কোন ধর্মগ্রন্থ বা মন্ত্ৰপুথি আছে বলিয়া জানিতে পারা যায় না, কিন্তু লিম্বু “চা” (প্রার্থনাম) ও “মন্ধুম” (শাস্ত্রগুলি পুরুষানুক্রমে শ্রুতি ও স্মৃতি সাহায্যে সংরক্ষিত হইয়া আসিতেছে। কথিত হয় যে “মারাং” নামক জনৈক লিম্বুরাজ। লিম্বুসমাজে লিখন পদ্ধতি প্রচলিত করিয়াছিলেন কিন্তু অব্যবহার বশতঃ তাহা বিলুপ্ত হইয়াছে। লিগণের বিশ্বাস যে একমাত্র ঈশ্বরানুগৃহীত ব্যক্তিই পৌরহিত্যের কাৰ্য্যে ও মন্ত্রাভ্যাসে ক্ষমতা লাভ করেন এবং পুরােহিতের সন্তান হইলেও অনেক সময়ে তাঁহারা পুরােহিতােচিত শিক্ষা দীক্ষা লাভ করিতে সক্ষম হন না। পুরােহিতগণের মাংসভােজন সম্বন্ধে কোনরূপ বিধি নিষেধ নাই, কিন্তু তাহারা কেহই “রসুন” গ্রহণ করেন না। পুরােহিতগণের মধ্যে অনেককে জারমদ্য ও সুরা ত্যাগী দেখা যায়। পুর্বে কিরাতগণের মধ্যে গাে হত্যার প্রচলন ছিল বলিয়া প্রমাণ পাওয়া যায়। ইহার প্রতিবিধানকল্পে কোন খারাজ ইহাদিগকে বহুদিনব্যাপী ভীষণ যুদ্ধে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রত