পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৪ দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি। স্থানাধিষ্ঠাত্রী দেবতার নিকট হইতে গােরােপযােগী কিঞ্চিৎ ভূমি ক্রয় করেন। গাের খনিত হইলে গােরের চতুষ্পর্শ্বে, পুরুষপক্ষে চারি ও স্ত্রীপক্ষে তিন সারি প্রস্তর সজ্জিত করিয়া শবটিকে তন্মধ্যে চিভাবে স্থাপন পূর্বক বদ্ধকর হস্তু দু’খানিকে বক্ষের উপর রক্ষা করা হয়। কোন কোন শ্রেণীর লিম্বুদের। শিয়রে কাংস পাত্রে একটি রৌপ্য বা তাম্র মুদ্রা রাখার প্রথা আছে। শবানুগমনকারিগণ প্রত্যেকে মুষ্ঠি মুষ্ঠি মৃত্তিকা নিক্ষেপ দ্বারা গর্তটি পূর্ণ করিয়া ফেলিলে ফেদাং পরলোকগত আত্মার উদ্দেশ্যে কিঞ্চিৎ উপদেশ বাক্য উচ্চারণ পূৰ্ব্বক জীবিতগণের প্রতি অত্যাচার করিতে নিষেধ করিয়া তাহাকে পূৰ্বপুরুষগণের সহিত মিলিত হইতে আদেশ করেন। তৎপরে ফেদা সকলের সহিত মৃতের গৃহে প্রত্যাবর্তন করিয়া জামদ্য, মাংস প্রভৃতিযােগে ভােজন সমাপনপূর্বক গৃহে প্রস্থান করেন। | । মৃতের পুত্র ও নিকটাত্মীয়গণ, পুরুষের মৃত্যু হইলে চারি এবং স্ত্রীলােকের তিন দিবস পৰ্য্যন্ত আমিষ, লবণ, তৈল, মসলা, কাল ডাইল প্রভৃতি বর্জনপূর্বক অশৌচ পালন করে এবং অশৌচান্তে পুনরায় ফেদাং ও আত্মীয় কুটুম্ববর্গকে আর একটি ভােজ প্রদান করিয়া পূৰ্ব্ববৎ সাংসারিক কর্মে প্রবৃত্ত হইবার ও সকলের সহিত মিলামিশা করিবার অনুমতি প্রাপ্ত হইয়া থাকে। বহুকালাবধি দুর্গম পার্বত্য প্রদেশের বিভিন্নস্থানে