পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৮ দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি। । পতাকার ন্যায় সতত উড্ডীয়মান বস্ত্রখণ্ডে লিখিত প্রার্থনা মন্ত্রগুলি বায়ুভরে উর্দ্ধে নীত হইয়া ভগবৎচরণে পৌছিবে। এতদ্ব্যতীত তিব্বতে পথভ্রমণ ও বায়ু সেবনকালেও পথিপার্শ্বে নির্মিত বুদ্ধমূর্তি সম্বলিত প্রাচীরগুলি প্রদক্ষিণ ও তৎ সংলগ্ন “মানে”গুলি হস্ত দ্বারা সঞ্চালন করিয়া ধৰ্ম্মার্জন করা হইয়া থাকে। তীর্থদর্শনদ্বারা পুণ্য সঞ্চয় জন্য তিব্বতীয়গণ প্রায়শঃই তীর্থ পৰ্যটনে বহির্গত হয়। তিব্বতে বহু তীর্থস্থান আছে এবং সকলস্থলেই যাত্রিগণের সুবিধার নিমিত্ত রাজব্যয়ে ও পুণ্যকামী ব্যক্তিগণ কর্তৃক বহু যাত্রীনিবাস বা পান্থশালা নির্মিত হইয়াছে। তীর্থস্থলে অবস্থিত দেবমন্দিরগুলি স্থপতি বিদ্যা ও অসাধারণ নির্মাণ দক্ষতার পরিচায়ক। | মানে—চূড়াযুক্ত গােলাকার ঢাকনিবিশিষ্ঠ প্রায় ৩২ ইঞ্চ নলাকৃতি একটি চোঙ এবং তন্নিম্নে অতি দক্ষতার সহিত সন্নিবেশিত একটি হাতল। বৌদ্ধমন্ত্র লিখিত একখণ্ড ভূর্জপত্র চোঙ মধ্যে সংরক্ষিত থাকে এবং চোঙ, ও হাতলের অন্তর্বর্তী স্থলে পাতলা গােলাকার একখানি তাম্রখণ্ড দৃষ্ট হয়। পাৰ্বতীয় বৌদ্ধগণের বিশ্বাস যে, মানে হস্তদ্বারা সঞ্চালনকালে ঘর্ষণে ঘর্ষণে তাম্রখণ্ডটি যতই ক্ষয়প্রাপ্ত হইতে থাকিবে, তাহাদিগের ইহজন্মের পাপভার তত লঘু হইবে । কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এক জন্মের চেষ্টায় তামুখখানি ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না এবং জন্মজ্জিত পাপরাশিও থাকিয়া যায়। এ তিব্বতীয় ভিক্ষুর হস্তে দ্রষ্টব্য)।