পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লামা তত্ত্ব ৪৯ (খ) লামা ভত্ত্ব দেশের সর্বত্রই অসংখ্য ধৰ্ম্মমন্দির “গুম্বা” ও ধৰ্ম্মমঠ “স” দৃষ্ট হয়, এবং প্রত্যেক ধৰ্ম্ম মঠেই বহু মুণ্ডিত মস্তক ব্ৰহ্মচৰ্যব্রতাবলম্বী লামা দিবারাত্র ধর্ম-চর্চায় ব্যপৃত থাকেন। রাজ নিয়মে দেশের কৃষিজাত দ্রব্যাদির একাংশ মঠের প্রাপ্য বলিয়া নির্ধারিত থাকা হেতু, মটবাসী লামাগণকে গ্রাসাচ্ছাদনের কোনরূপ ভাবনা ভাবিতে হয় না। দেশের প্রথানুসারে প্রত্যেক পরিবারের পুত্র সন্তানগণের মধ্যে এক জনকে লামা ব্রত অবলম্বন করিতে হয়; তিনি ধৰ্ম্মানুষ্ঠান কার্যে শিক্ষা লাভ করিয়া গার্হস্থ্য জীবনে নিজ গৃহে পৌরহিত্য কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়া থাকেন। সর্বাপেক্ষা মেধাবী ও প্রতিভাসম্পন্ন বালককে কিছুকাল # “গুফ ফায়” শিক্ষাদান করিয়া পরীক্ষার্থ কোন সমঠে প্রেরণ করা হইয়া থাকে। সমঠে মঠাধ্যক্ষ লামা ও জনৈক রাজপ্রতিনিধি লামা প্রেরিত বালকগণের শিক্ষা ও বুদ্ধি বৃত্তির বিশেষরূপ পরীক্ষা গ্রহণ করিয়া, কৃতকাৰ্য্য বালকগণকে সমঠে প্রবিষ্ট হইবার অনুমতি প্রদান করেন। পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বালকের শিক্ষাদাতা উপস্থিত

  • গুফফা—টোলের মত, রাজসরকার ইহার সমুদয় ব্যয়ভার বহন করিয়া থাকেন ।