পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দণ্ডবিধি

  • তিব্বতে কাহারও বিরুদ্ধে কোন অভিযােগ আনীত হইলে সর্বপ্রথমে তাহাকে ধৃত করিয়া নজরবন্দী অবস্থায় হাজতগৃহে আবদ্ধ রাখা হয়।

তথায় “উইনিচিচয়া” বা মহামাত্মা তৎপ্রতি সদয়ভাব প্রদর্শন করিয়া তাহাকে অভিযােগ সম্বন্ধে প্রশ্ন করেন, এবং “ওহারিকা” নামক কর্মচারী তাহা আরও বিশদভাবে জিজ্ঞাসা করিয়া প্রশ্নোত্তর লিপিবদ্ধ করিয়া লন্। তৎপরে “শাদি” অর্থাৎ অপরাধীর প্রতি পীড়ন আরম্ভ হয় এবং “সূওধারা” নামক কর্মচারী অপরাধীকে অপরাধ সম্বন্ধে কঠোর ভাবে প্রশ্ন করিতে ও মাঝে মাঝে বেত্রাঘাত করিতে থাকেন। | অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনরূপ স্বীকারােক্তি করিলে “অখকুলাট্ট” নামক কর্মচারী তাহাকে পুনঃ পুনঃ বেত্রাঘাতে জর্জরিত করিয়া আরও নূতন কথা প্রকাশ করাইতে প্রয়াসী হন। | যদি অভিযােগের বিষয় গুরুতর হয় এবং রাজ সরকার অভিযােক্তা হন্ তাহা হইলে অপরাধীকে প্রধান মন্ত্রী, সেনাপতি বা “কালনের” নিকট হাজির করা হয় এবং তিনি

  • Hindu Polity-K. P. Jayaswal.