পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লেপচা জাতির কথা ৬৩ দেশে “বাণ” নামক একহস্ত পরিমিত দীর্ঘ ও তিন অঙ্গুলি প্রস্থ তীক্ষাগ্র ছুরিকা বহন করে। পােষাকগুলি সাধারণতঃ রেশম বা মখমল নির্মিত এবং দেখিতে অনেকটা ঢিলা চাপকানের মত। স্ত্রীলােকেরা হাতাহীন দম্ নামক পােষাক মাত্র ব্যবহার করে এবং কেশ সংস্কার কালে কেশগুলিকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া বেণীর আকারে পৃষ্ঠদেশের উপর দিয়া ঝুলাইয়া দেয়, কখনও বা লম্বিত বেণী দুটীকে উর্ধদিকে মস্তকের পার্শ্ব বেষ্টন করিয়া সীমন্তদেশে গ্রন্থিবদ্ধ করিয়া রাখে। স্ত্রীলােকেরা কোনরূপ অবগুণ্ঠন ব্যবহার করে না। লেপচাদিগের মধ্যে জাতি বিভাগ না থাকিলেও সাধারণ লেপচাগণ, বানর ও সর্পভূক্ লেপচা এবং “তামসাংবু” লেপচাগণের সহিত কোনরূপ সামাজিক সংশ্রব রাখে । যে সময়ে সিকিম ভুটান কর্তৃক আক্রান্ত হইয়াছিল ঐ সময়ে তিস্তা নদীর পূর্বতীরবাসিগণ প্রাণভয়ে ভীত হইয়া বিনা যুদ্ধে ভােট সৈন্যের নিকট আত্মসমর্পণ করিয়াছিল বলিয়া সিকিমী লেপচাগণ ইহাদিগকে ঘৃণিত “তামসাংবু” অথবা দাস আখ্যা প্রদান করিয়াছে। | লেপচাদিগের মধ্যে একটা প্রবাদ আছে যে, জগতে যতদিন বানর জাতি জীবিত থাকিবে, ততদিন লেপচা জাতিরও আস্তিত্ব রহিবে—বানরের সহিত লেপচার জাতি