পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ ৬৫ লইতে হয়। তবে, অবরােধ প্রথার প্রচলন না থাকা বশতঃ এ বিষয়ে কাহাকেও কোন বেগ পাইতে হয় না। নির্ধারিত দিনে বর সদলবলে পাত্রীর বাটীতে আসিয়া উপস্থিত হইলে, লামা, সমবেত আত্মীয় কুটুম্বগণের সমক্ষে বরকন্যাকে স্বামী স্ত্রী বলিয়া ঘােষণা করেন, এবং বর, বিবাহের নিদর্শন সূচক “ককেভ” বা অঙ্গুরীয় “বাদো” নামক একখণ্ড রেশমী রুমাল এবং কিছু অলঙ্কার কনেকে উপহার দিয়া থাকেন। “ইংরেনকু”, অর্থাৎ যিনি কন্যাকে শৈশবাবস্থা হইতে পালন করিয়াছেন, কন্যার পিতার নিকট হইতে পণলব্ধ অর্থ ও উপঢৌকনাদির কিয়দংশ প্রাপ্ত হন। | বিবাহের অনুষ্ঠানগুলি সমাধা হইলে উভয় পক্ষের আত্মীয় কুটুম্বগণকে জারমদ্য, মাংস, ও পিষ্টকাদি সংযােগে ভােজন করান হয়। ভােজন কালে সাধারণ-নিমন্ত্রিতগণকে জার অর্থাৎ তরল মদ্য ও বিশিষ্টগণকে “চো” নামক-মদ্য পান করিতে দেওয়া হয়। এতদ্ভিন্ন উভয়পক্ষের পূজনীয় ও সম্মানীয়গণকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন মানসে, পৃথক পাত্রে। করিয়া গৃহে লইয়া যাইবার নিমিত্ত কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ কাচা মাংস পরিবেষণ করা হইয়া থাকে, পাত্রীর বাটীতে বিবাহ রাত্রির এ ভােজের সমুদায় ব্যয়ভার বরকেই বহন করিতে হয়। ফল কথা কন্যার বিবাহের নিমিত্ত পিতাকে আদৌ কোনরূপ কষ্ট বা ব্যয় স্বীকার করিতে হয় না। ব্যাপারটা যেন বরপক্ষের দায়