পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবিকা বললে-লোকটাকে কিসের মতো দেখাচ্চে বলো তো ? ঠিক যেন বাংলাদলের বড় কেল্টীঠাকুর ; মাথায় চাঁচির চিকুর, মায় বশিটা পৰ্য্যন্ত হবেহা-না ? --ডেকে নাম জিজ্ঞেস কর না ? কিছ পরেই আমরা অতিথিশালার ম্যানেজারের কাছে যবকটির পরিচয় পেলাম। সে রাজার শ্যালক, এখানেই সামান্য কিছ কাজ করে রাজ-স্টেটে, বেশ আমদে লোক --আর নাকি খব ভালো নাচতে জানে! আমরা যবকটির সঙ্গে আলাপ করলাম। আমাদের খব ভালো লাগলো লোকটিকে। লেখাপড়া বিশেষ কিছ জানে না, কিন্তু বেশ বন্ধিমান যে, তা কথাবাত্তা থেকে চািপলট বোঝা যায়। আমি বললাম-আপনার পৈতৃক দেশ কোথায় ? --রাজখাসাওন-বি এন আর এ-তবে এখানেই আছি আজ দশ বছর। -এই বনের মধ্যে বেশ ভালো লাগে আপনার ? —খব শিকার মেলে। কিনা! আপনারা থেকে যান, ভালক শিকার করতে যাবো। —ভালকৈ খাব আছে নাকি ? -এই যে বন দেখাচেন, ভালক আর সম্পবের হরিণ এত আছে যে অনেক সময় দিনমানেও লছমীপর গ্রামের মধ্যে ছটকে এসে পড়ে। আপনারা পায়ে হেটে যাবেন না বনের মধ্যে দিয়ে-বড় বিপদজনক। আমি ঘোড়া দিচ্চি দজনকে, সঙ্গে শিকারী গাইড দেবো, তবে যাবেন। আমরা বললাম, হেটে যখন যাবো ঠিক করেচি, তখন ঘোড়ায় চড়বো না, সেটা ঠিকও হবে না। যবিকটি ভেবে বললে-তীৰ্থ করতে যাবেন বলে কি আর একটি ঘোড়ায় চড়তে নেই ? বন কতখানি আপনারা জানেন না-বড় দেরি হয়ে যাবে বন পার হতে, যদি পায়ে হেটে যান। -कठ दp बन जाना भ6न् श्श ? —দশ-বারো মাইল খাব হবে, লছমীপরের জঙ্গল দক্ষিণ ভাগলপরের বিখ্যাত জঙগল। ঘোড়ায় যদি না যান, তবে একজন গাইড সঙ্গে নিয়ে যান। যােবক উঠে চলে গেলে আমরা দজনে পরামর্শ করে ঠিক করলাম সঙ্গে লোক নেওয়ারও কোনো দরকার নেই। ওতে আমাদের বাহাদারি অনেকখানি কমে য়াবে। অতিথিশালার ম্যানেজার বললেন-আপনাদের খাবার-দাবার সব তৈরি। যদি বেরাতেই হয়—তবে আপনারা আর বেশি দেরি করবেন না—কারণ জঙ্গল পার হতে খব সময় নেবে। আহারাদির পর অম্বিকা বললে—একবার রাণীমার সঙ্গে দেখা না করে যাবো। না হে। একবার আলাপ করে রাখি, পরে কাজ দেবে। তুমিও চল না-আলাপ করা যাক। দরকার অন্য কিছ নয়, উকিল মানষ, এত বড় স্টেটের কত্রীর সঙ্গে আলাপ রাখলে স্টেটের মামলা মোকদ্দমাগলো পাবার দিক থেকে অনেক সবিধে। লছমীপর গাঢ়োয়ালী সেন্টট। বার্ষিক আয় খাব বেশি না হলেও নিতান্ত মন্দ নয়। অম্বিকা বলেছিল দ্য-লাখ টাকা ; অত যদিও না হয়, লাখখানেকের কম নয় নিশ্চয়ই। বন থেকেই এদের আয় বেশি। বনের খানিকটা অংশ লক্ষা-ব্যবসায়ীদের ইজারা দেওয়া হয়, তা বাদে কাঠ ও সম্পবের হরিণের শিং আর ছাল বিক্ৰী করেও যথেস্ট আয় হয়। আমরা কালীবাড়ী দেখতে গেলাম। একটি বন্ধ বাঙালী ব্ৰাহ্মণ এখানকার Sabr