পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে উঠেচে। যেতে যেতে এক জায়গায় মনষ্যেকণ্ঠের সন্মিলিত সঙ্গীত কানে এল। ব্যাপার কি ? গান গায় কে ? মিঃ সিংহ বললেন-দেখবেন ? এখানে কইনাইটের খনি আছে— —জঙ্গলের মধ্যে --বেশী দরি নয়, পথের ধারে। মোটর থামিয়ে আমরা গাছপালা ঠেলে বনের মধ্যে ঢাকি। আমাদের সামনে একটা ধাওড়া চালাঘর, জংলীঘাসে ছাওয়া। ত্রিশ-চল্লিশ জন তরণী সাবাস্থ্যবতী। হো-কুলিরমণী সেখানে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে লোহার দরমশ দিয়ে পাথরে কয়লার মত কি জিনিস চণ্য করচে। আর এক সঙ্গে গান গাইচে হো ভাষায়। মিঃ সিংহ বললেন—ঐ কালো কয়লার মত জিনিসটাই কইনাইট। —খনি কোথায় ? --STS-3 (GSO3 NCS —এর মালিক কে ? —-এও দেবীপ্রসাদ মাড়োয়ারীরা। বনের মধ্যে খনির কাছেই এর বাসা আর আপিস আছে। সেখানে দ-তিন জন বাঙালীবাব -খাতা লিখছে 一交T1 আবার মোটরে এসে উঠলাম। বন ছাড়িয়ে উচনীচ মাঠ, মাঠ ছাড়িয়ে আবার ছোটখাটো বন, আবার মাঠ, মাঝে মাঝে পাথর ছড়ানো হো-গ্রাম। ফিলোিমর ছবির মত সন্দর এই বন্য গ্রামগলি। কালো মাটির দেওয়াল দেওয়া ছোট নীচ ঘরগলি, চালায় চালায় বসতি। এরা ফাঁকা ফাঁকা ভাবে বাড়ী তৈরী করতে জানে না; এক বাড়ীর দেওয়ালের গায়ে অন্য গহস্থ চালা বসিয়েচে অন্যদিকে। বড় বড় পাথর ছড়িয়ে পড়ে আছে চারিদিকে।--বোধহয় সেগলো পারিবারিক সমাধি বা দেবদেবীর সােথান। প্রত্যেক হো বন্য গ্রামেই এমন পাথর ছড়ানো দেখেছি।--মোটা মোটা পাথর ডালমেন বা মেনহিরের ধরণে খাড়া করে পোঁতা-তাদের গায়ে হিন্দিতে কি লেখাও আছে । একখানা পাথরের গায়ে লেখা বনট মালাইয়ের পত্র অস্থিক মালাই। घद्ध-बन्प्रेष्ठ ञ्जिव्ला-निरङ्श्व জিজ্ঞেস করলাম-কাকে অমর করবার ব্যবস্থা এ ? মিঃ সিংহ বললেন—কেন বনট মালাইয়ের পত্র অস্থিক মালাইকে। —তার কি হয়েচে ? —সে মারা গিয়েচে । আবার ফিরলাম। বামিয়াবার বাংলোতে। সন্ধ্যা তখন হয়-হয়। পরদিন বামিয়ােবর বনের মধ্যে বেড়াতে বার হওয়া ঠিক হয়েচে, আমরা একটি বেশী রাত্রে খাওয়াদাওয়া শেষ করলাম। অন্ধকার রাত্রি ; আমার চক্ষে ঘাম নেই, এমন বিশাল অরণ্যের মধ্যে কখনো রাত কাটাই নি। বসে বসে দেখছিলাম। বাংলোকে ঘিরে চারিধারে শােধ বন আর পাহাড়, পনের শো। ফন্ট উচ্চ পাহাড়ের চড়ায় আমাদের এই বাংলো সতরাং এখান থেকে SS