পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনের সব্বত্র আতিপাতি করে খাজচে ।কালকার সেই বাঘে-খাওয়া গরর মতদেহটার জন্যে। ঘণ্টাখানেক খাঁজবার পরে ওদের অধ্যবসায় সার্থক হোল, দেখি আমাদের চড়া থেকে সামান্য উচ, আর একটা ডাংরির মাথায় দটি লোক মারা গর, বাঁশে ঝালিয়ে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্চে। আমাদেরও চা ও খাবার এই সময় দািবলবেড়া থেকে এসে পৌছলো। চা খেয়ে নিয়ে আমরা রওনা হই। নিচে নেমে একটা খাড়িয়ার কুটির। ওর মধ্যে আমরা ঢাকে দেখি-একটা মলিন চোঁটাই, কয়েকটি হাঁড়ি-কলসী, লাউকোটে তৈরী একটা হাতা, চীহাড় পাতার একটা ঠোঙা, দটো শকিনো ধধলে, একটা উদখল—এই তার সমস্ত জাগতিক সম্পত্তি। ঢািকল বাগাল বল্লে-হাতীর ভয়ে আমরা হিই রাতে বাইরে শ্যই অ্যাভেজ্ঞ। নইলে ঘর ভাঙি দিবেক । —তোরা হাতী এলে কি কারিস 2 —হাতী খেদবো। এই গ্রামের নাম গামীরকোচা। আমার মনে হোেল পড়ন্ত হলদে রোদে এই বন পৰ্ব্ববত, দরে দরে অগণ্য শৈলমালা ও গ্রানিট শিখর, অরণ্যাবত সানদেশ ও নিচেকার সমতলভূমির কিছ অংশ দেখে- যে, এই খাড়িয়া অধিবাসীরা খবই গরীব হয়তোকিন্তু অনেক শহরে বড়লোকের চেয়ে ভাল জায়গায় বাস করে এরা। দাডিজলিং কাসিয়াং বা শিলং-এর চেয়ে কোনো অংশে নিকুম্পট নয় এদের বাড়ীর মাটির নিচ দাওয়া থেকে চতুঃপাশেবর পাব্বিত্যদশ্য। যেদিকেই চাই- সামনের ময়রভঞ্জের দিকেই হোক, বা বামে ভালকি ও মসিাবনীর দিকেই হোক-শৈলমালার পেছনে শৈলমালা, তাঁদের পেছনে শৈলমালা, তাদের পেছনে আবার উচ্চতর শৈলমালা—সজল নীল কুয়াশায় অস্পট, কোনোটাতে হলদে রোদ, কোনোটার মাথায় মেঘের ছায়া, কোনোটা কুয়াশায় ধোঁয়া ধোঁয়া। এই সব দেখতে দেখতে ঘন বনের পথে নামলিম। সন্ধ্যা হয়ে এসেচে, তাঁবতে এলাম। একটা পরে শনি সামনে পাহাড়ে বাঘের “হাঁকোর’ ‘হাঁকোর” আওয়াজ। দবার তিনবার শািনলাম। একটা পরে বারোজ সাহেব তাঁবতে বেড়াতে এল-সে বল্লে, কাল সন্ধ্যায় এমনি ডাকছিল বাঘ। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়া এমন আওয়াজ করবে না। নিজজন বন পাহাড়ের ধারে তাঁব, অন্ধকার রাত্রি, এমনি বাঘের ডাকে ভয় যে না হোল মনে, তা বলতে পারিনে। বারোজ বল্লে-খাড়িয়ারা সপ্তাহে একবার মাত্ৰ ভাত খেয়ে থাকে গরমকালে। আর কিছ জোটে না। খাড়িয়া কুলি মেয়েরা পয়সা নিয়ে গেল। মজরির, তার পরদিন এল না। ওরা খনিতে কাজ করতে। টাকা হাতে পেয়ে ভয় পেল। বল্লে-এ সব টাকা আমাদের ক্ল’ 一交*T1 -কত আছে ? -- দ্য টাকা। গানতে জানিস না ? - নেই জানি । এত গরীব। কিন্তু এত সরল। ধলভূমের দশ্য যে এত wild ও এত ভালো তা আগে জানতুম না। ভগবানাকে ধন্যবাদ যে তিনি দেখবার সহযোগ দিয়েচোন। 7 রাত্রি দশটা। ডায়েরি লিখতে লিখতে তাঁবার বাইরে এসে দেখি কৃষ্ণা তৃতীয়ার ভাঙা চাঁদ অনেকটা উঠে গিয়েচে আকাশে-পেছনের পক্বতসানির দোকা, শালগা ও ó& দিনলিপি-৭/হে অরণ্য কথা কও-৫