পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য ֆՀե* তার কোন দিনই নেই। সে হেসে বলে, “বৈরিগি মানুষের অত লজ্জা কেন ? বলি না হেরম্বকে কাণ্ডটা -শোন হেরম্ব, বলি। এই যে গোবেচারী ভাল মানুষটিকে দেখছ, সাত চড়ে মুখে রা নেই, আমার জন্যে একদিন এ রাধাবিনোদ গোঁসাই-এর সঙ্গে মারামারি করেছে। হাতহাতি চুলো চুলি সে কি কাণ্ড হেরম্ব, দেখলে তোমার গায়ে কঁাটা দিত। আমি না। সামলালে সেদিন গোঁসাই খুন হয়ে যেত হেরম্ব । আর আজকে আমি মরি বঁচি গ্ৰাহি নেই ।” হেরম্ব বুঝতে পারে, কথার আড়ালে মালতী পুষ্পাঞ্জলির মত অনাথের পায়ে নিবেদন বর্ষণ করছে।--যেদিন ছিল সেদিন আবার ফিরে আসুক। ‘হঁ্যা গো, চল না। আমরা যাই ? মেয়ের মুখ চেয়ে আর কতকাল আমায় কষ্ট দেবে ?” “তোমার সঙ্গে কথা কইলেই তুমি বড় বাজে বক, মালতী।” বলে অনাথ উঠে গেল। মালতী ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বলল, “আমার সঙ্গে এমন করলে ভাল হবে না বলছি । বস এসে, আমার আরও কথা আছে, ঢের কথা আছে ।” অনাথ চলে গেলে মালতী ফোস করে একটা নিশ্বাস ফেলল। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে তার ঠোঁটের বঁাকা হাসিতে নিরুৎসাহ ও নিরুৎসব ভাব চাপা পড়ে গেল । এইমাত্ৰ যে ছিল ভিখারিণী, সে হঠাৎ ক্ষমাদাত্রী হয়ে বলল, “লোকটা পাগল হেরম্ব, খ্যাপা। আর ছেলেমানুষ।” ‘अभि किकू बनव, भालऊँी-cबोलि ? “চুপ! একটি কথা নয়। '-মালতী৷ টেনে টেনে হাসল, “তুমি বোঝ ছাঁই, বলবেও ছাই। দেড় যুগ আঙ্গুল দিয়ে ছোয় না, তাই বলে আমি কি