পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి দিবারাত্রির কাব্য পৃথিবীশুদ্ধ সব মেয়ে হাসিমুখে যে কাজ করছে তার বিরুদ্ধে তোর নালিশ । সাজে না। চাকরী করে স্বাধীনভাবে জীবন কাটানো তুই হয়তো খুব মজার ব্যাপার মনে করিস, আসলে কিন্তু তা নয়। আর্থিক পরাধীনতা স্বীকার করবার সাহস যে মেয়ের নেই তাকে কেউ ভালবাসে না। তাছাড়া,-” এইখানে ইজিচেয়ারের দুইদিকের পাটাতনে কনুয়ের ভর রেখে হেরম্ব সামনের দিকে একটু বুকে পড়ল, “তাছাড়া স্বাধীনতা তোম । সইত না। কতগুলি বিশ্ৰী কেলেঙ্কারি করে জীবনটা তুই মাটি, কী ফেলতিস্য ।” সুপ্রিয়া সংক্ষেপে শুধু বলল, “ইস্!” ‘ইস নয়। ওই তোর প্রকৃতি । পনের বছর বয়সেই তুই একটু পেকে গিয়েছিলি, সুপ্রিয়া । বাইশ তেইশ বছর বয়সে মেয়েরা সারা জীবনের একনিষ্ঠতা অর্জন করে, তোর মধ্যে সেটা পনের বছর বয়সে এসেছিল। তখনি তোর জীবনের দুটো পথ তুই একেবারে স্থির করে ফেলেছিলি। তার একটা হল লেখাপড়া শিখে স্বাধীন হয়ে থাকা, আর একটা-” হেরম্বকে একটু থামতে হল, ‘-অন্যটা এক অসম্ভব কল্পনা।” সুপ্রিয়া আবার পলকহীন চোখে তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞাসা করুল,

  • অসম্ভব কেন ?”

হেরম্ব চেয়ারে কান্ত হয়ে এলিয়ে পড়ল । “যা তুই, রান্নাঘর থেকে একবার ঘুরে আয়গে। ভাগ।” হেরম্বের আদেশে নয়, আতিথ্যের প্রয়োজনেই সুপ্রিয়াকে একসময়