পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য ১৪৮ আপনি যে এত জোর খাটাচ্ছেন, আপনার কি জোর আছে বলুন তো । ও আমাদের অতিথি, আপনার তো নয় ।” “আমি ওর বন্ধু।” আনন্দ আরও ব্যাপকভাবে হেসে বলল, “আমিও তো তাই!” হেরম্ব কখনও কোন কারণে সুপ্রিয়ার মুখে হিংস্ৰ-ব্যঙ্গ শোনে নি, আজ শুনল। হঠাৎ মুচকে হেসে সুপ্রিয়া বলল, “তুমি ?”-বলে, এই একটিমাত্র শব্দে আনন্দকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে ক্ষণিকের বিরাম নিয়ে সে যোগ দিল, ‘ওর সঙ্গে আমার বেদিন থেকে বন্ধুত্ব, তোমার তখন জন্মও হয় নি ।” আনন্দ আশ্চৰ্য্য হয়ে বলল, “যান। আমার জন্মের সময় আপনার আর কত বয়স ছিল ?-কত আর বড় হবেন আপনি আমার চেয়ে ? আপনার বয়স উনিশ কুড়ির বেশী কখখনো নয়।” সুপ্রিয়া বুঝতে পারল না, হেরম্বই শুধু টের পেল আনন্দের এ প্রশ্ন কৃত্রিম নয় সে পরিহাস করে নি । সুপ্রিয়ার মুখ অন্ধকার হয়ে গেল। সে যেন হঠাৎ ধমক দিয়ে বলল, “তুমি ছেলেমানুষ তাই তোমাকে কিছু বললাম না । বয়সে যারা বড় আর কখনো তাদের সঙ্গে এ রকম ঠাট্টা 6 को न् ।' সুপ্রিয়ার ধমকে মুখ স্নান করে আনন্দ যা বলেছিল তার কোন মানে নেই,-শুধু একটি “আচ্ছা”। হেরম্ব ভাল করেই জানে সুপ্রিয়ার কাছে সে যে অপমান পেয়েছে তার জন্য আনন্দ তাকেই দায়ী করবে। দায়ী