পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য SV). বলে আনন্দ চোখ মুছতে লাগল। হেরম্ব তাকে একটি সাত্মনার BBKLL DBDDB DBDB DS DDLLDBB DDD SSS KLLD KLDSS 0DBDDS জল ঝরে পড়ছে, আনন্দ প্ৰায় ভিজে গিয়েছিল । তাকে সঙ্গে করে হেরম্ব ঘরে গেল। ঘরের জানালা কেউ বন্ধ করে নি। বৃষ্টির জলে মেঝে ভেসে গিয়েছে। হেরম্বের বিছানাও ভিজেছে। বিছানাটা উণ্টে নিয়ে হেরম্ব তোষকের নীচে পাতা শুকনো সতরঞ্চিতে বসল। বলার অপেক্ষা না রেখে আনন্দও তার গা ঘেসে বসে পড়ল। সে অল্প অল্প কঁপিছিল, জলে ভিজে কিনা বলবার উপায় নেই। হেরম্বের মনে হল, সাত্মনার জন্য যত নয়, নির্ভরতার জন্যই আনন্দ ব্যাকুল হয়েছে বেশী। এরকম মনে হওয়ার কোন সঙ্গত কারণ ভেবে না পেয়ে হেরম্ব তাকে সাত্ত্বিনাও দিল। না, নির্ভরতাও দিল না । সে বরাবর লক্ষ্য করেছে এরকম অবস্থায় ঠিক মত না বুঝে কিছু করতে গেলে হিতে বিপরীত হয়। আনন্দ বলল, “মা কি করেছে জান ? বাবাকে টাকা দিয়েছি বলে আমাকে মেরেছে।” হেরম্বের দিকে পিছন ফিরে পিঠের কাপড় সে সরিয়ে দিল, “দ্যাখ, কি রকম করে মেরেছে। এখনো ব্যথা কমে নি । ঘাস লেগে জালা করে বলে জামা গায়ে দিতে পারি নি, শীত করছে, তবু। কি দিয়ে মেরেছে জান ? বাবার ভাঙ্গা ছড়িটা দিয়ে।” তার সমস্ত পিঠ জুড়ে সত্যই ছড়ির মোটা মোটা দাগ লাল হয়ে উঠেছে । হেরম্ব নিঃশ্বাস রোধ করে বলল, “তোমায় এমন করে CNCSIC !” আনন্দ পিঠ ঢেকে দিয়ে বলল, “আরও মারত, পালিয়ে গেলাম বলে। পারে নি। বৃষ্টির সময় মন্দিরে বসেছিলাম। তুমি যত আসছিলে না,