পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOVNd দিবরাত্রির কাব্য তখন আর দাড়িয়ে দাড়িয়ে মার খেয়ে লাভ কি ? সুপ্রিয়ার আবির্ভাব হওয়া মাত্র তার যদি এই অবস্থা হয়ে থাকে, শেষ পৰ্য্যন্ত কি অবস্থা দাড়াবে কে বলতে পারে ? যে তেজ, যে প্ৰচণ্ড গতির অবসান হয়ে গেছে তার জন্য হেরম্বের মন, হাহাকার করে। একদিন যা দিয়ে সে মানুষের বুকও ভেঙ্গেছে ঘরও ভেঙ্গেছে, আজ সে শক্তি থাকলে সে মহামানবের মত ভাঙ্গা বুক জোড়া দিতে পারত, ভাঙ্গা ঘর গড়ে তুলতে পারত। মনে জোর থাকলে জীবনে সমস্যা কোথায় ? মালতী, সুপ্রিয়া ও আনন্দকে নিয়ে বিপুল পৃথিবীর এককোণে ঠাই বেছে নেওয়া কঠিন নয়, জীবনের দুটি প্রান্তে DBDOBE D uBDBBBBD LBDB DBDBDB BDBDB BBSDD DBBBDD DBBDS DDLDDD নিজস্ব সীমা তাদের কোনদিন চোখে পড়বে না, খণ্ডিত হেরম্বকে দিয়েও জীবনের পূর্ণতা সাধিত হওয়ায় কোনদিন তারা অনুভব করতে পারবে: না নিজেকে দু’ভাগে ভাগ করে দু’জনকেই সে ঠকিয়েছে। একদিন হেরম্বের পক্ষে এ কাজ সম্ভব ছিল। আজ এ শুধু কল্পনা, অক্ষমের দিবাস্বপ্ন । সত্যই কল্পনা । আজ সারাদিন, বিশেষভাবে আনন্দের পিঠে বরফ , ঘষে দেবার সময়, এই দিবাস্বপ্নই সে দেখেছে। সুপ্রিয়া থাকে জনপদের একটি দ্বিতল গৃহে, তার ছবির মত সাজানো ঘরে সারাদিন হেরম্ব গৃহস্থ ংসারী, সন্ধ্যায় সে ফিরে যায় আনন্দের স্বহস্তে রোপিত ফুলগাছে সাজানো বাগানে ঘেরা শান্ত নিৰ্জন কুটিরে। সুপ্রিয়া তাকে রোধে খাওয়ার, আনন্দ তাকে দেখায় চন্দ্ৰকলা নাচ । তার মধ্যে যে ক্ষুধিত অসন্তুষ্ট দেবতা আছেন হেরম্ব তাকে এমনি সব উদভ্ৰান্ত কল্পনার নৈবেদ্য নিবেদন