পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবারাত্রির কাব্য GA V DBBBD BDDBDDBSDBBD BDS S SKDDDDDBD S আনন্দ হেরম্বের জামার বোতাদের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘অনেক দিন বললেন যে ? দেড়বছর কি অনেক দিন ?” হেরম্ব বলল, “অনেক দিন বৈকি। দেড় বছরে ক’বার সূৰ্য্য ওঠে, কত লোক জন্মায়, কত লোক মরে যায় খবর রাখি ?? আনন্দ মনে মনে একটু হিসাব করে বলল, “দৌড়বছরে সুৰ্য্য ওঠে। পাঁচশো সাতচল্লিশ বার। লোক জন্মায় ক’ত ? ক’ত লোক মরে যায় ?” হেরম্ব হেসে বলল, “পনের কুড়ি লাখ করে হবে।” আনন্দ ও তার চোখের দিকে চেয়ে হুেসে বলল, “মোটো ? আমি ভাবছিলাম। একবছরে পৃথিবীতে বুঝি কোটি কোটি লোক জন্মায়। মার কাছে রোজ যে সব মেয়ে ভক্ত আসে তাদের সকলেরই বুকে একটি, কঁাখে একটি, হাত-ধরা একটি, এমনি গাদা গাদা ছেলেমেয়ে দেখি কিনা, তাই মনে হয় পৃথিবীতে রোজ বুঝি অগুন্তি ছেলেমেয়ে জন্মাচ্ছে । কিন্তু দেড় বছরে আর যাই হোক, মানুষ কি বদলাতে পারে ?” ‘পারে । এক মিনিটে পারে।” হেরম্ব জোর দিয়ে বলল । আনন্দ একটু লাল হয়ে বলল, “আপনার স্ত্রীর কথা ভেবে বলি নি । এমনি সাধারণ ভাবে বলেছি। ” দেড় বছরে মানুষ বদলাতে পারে। কিনা প্রশ্ন করে তার মনে স্ত্রীর শোকটা কতখানি বর্তমান আছে আনন্দ তাই সাপতে চেয়েছিল হেরম্ব * একথা বিশ্বাস করে নি। সে জেনেছে আনন্দের হৃদয়ে মানুষের সহজ অনুভূতিগুলি সহজ হয়েই আছে। মৃত স্ত্রীকে কেউ ভুলে গেছে শুনলে খুসি হবার মত হিংস্র আনন্দ নয় }