পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিশ্ব-পরিস্থিতি

 আমি যে চোখে বর্ত্তমান সাধারণ পরিস্থিতি দেখছি তারই সম্বন্ধে কয়েকটি মন্তব্য করব। সর্ব্বপ্রথম আমি বলতে চাই, আমি পরিপূর্ণ আশাবাদিতা নিয়ে সাধারণ পরিস্থিতি দেখে থাকি এবং আমার এ আশাবাদিতার কারণও প্রকাশ করে বলতে পারি। প্রথম কারণ, পূর্ণ একবৎসর ধরে কাজ করে আমরা নিজের চোখেই নিজেদের কৃতিত্ব দেখতে পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আমরা আরও কত কি করতে পারি সে সম্বন্ধে এই অভিজ্ঞতা আমাদের যথেষ্ট ধারণা দিয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, পূর্ব্ব-এশিয়ার ভারতীয়রা সম্পূর্ণতঃই আমাদের সঙ্গে আছেন এবং “সামগ্রিক সমর প্রস্তুতির” কার্য্যতালিকা বাস্তবে পরিণত করতে তাঁরা আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।

 সেই সঙ্গে আর একটি ঘটনা আছে। আমরা সব চেয়ে কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি—আমরা ভারত-সীমান্ত পার হয়ে গেছি এবং বিভিন্ন রণাঙ্গনে বিপক্ষদলকে পরাজিত করতে পেরেছি। এমন এক সময় ছিল যখন লোকে সন্দেহ করত—ভারতীয় জাতীয় বাহিনী প্রকৃতই প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারবে কিনা এবং যদিই বা প্রত্যক্ষ সংগ্রামে প্রবৃত্ত হয় তবে বিপক্ষদলকে পরাজিত করতে পারবে কিনা। আমরা সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি; অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে আমরা বিপুল আত্মবিশ্বাস লাভ করেছি।

 ভারতের মাটিতে লড়াই শুরু হবার পর থেকে এ যুদ্ধ আমাদের যুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। “যুদ্ধ আমাদেরই”—এই অনুভূতি শুধু যে প্রত্যক্ষ

৩৮