পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ S& আঙ্গুল বারুদ পুরিলে কাযেই ফাটে। আমি অতি ক্ষুদ্র প্রজ, দেড়খানি লাঙ্গল রাখি, আবাদ হদ ২০ বিঘা, তার মধ্যে যদি ৯ বিঘ। নীলে গ্রাস করে তবে কাযেই চটুতে হয় । ত। অামার চটায় আমিই মরবো, হুজুরের কি ! গোপী । সাহেবের ভয়, পাছে তুমি সাহেবকে তোমারদের বড় বাবুর গুদামে কয়েদ কর্যে রাখ । সাধু। দেওয়ানজি মহাশয়, মড়ার উপর আর খাড়ার ঘ কেন দেন। আমি কোন কীটস্য কীট যে সাহেবকে কয়েদ করবো, প্রবল প্রতাপশালী— গোপী । সাধু, তোর সাধুভাষা রাখ, চাসার মুখে ভাল শুনায় না, গায় যেন ঝাটার বাড়ি মারে— উড। বাঞ্চৎ বড় পণ্ডিত হইয়াছে । অামিন । বেট রাইয়তদিগের আইন পরোয়ান সব বুঝাইয়া দিয়া গোল করিতেছে, বেটার ভাই মরে লাঙ্গল ঠেলে, উনি বলেন “প্রতাপশালী”— গোপী । ঘুটেকুড়ানীর ছেলে সদর নায়েব —ধৰ্ম্মাবতার। পল্লীগ্রামে স্কুল স্থাপন হওয়াতে চাসালোকের দৌরাত্ম্য বাড়িয়াছে । উড । গবরণমেণ্টে এ বিষয়ে দরখাস্ত করিতে আমাদিগের সভায় লিখিতে হইবেক, স্কুল রহিত করিতে লড়াই করিব । আমিন। বেট। মোকদমা করিতে চায় । উড । ( সাধুচরণের প্রতি ) তুমি শালা বড় বজাত আছে । তোমার যদি ২০ বিঘার ৯ বিঘা নীল করিতে বলেছে তবে তুমি কেন আর ৯ বিঘা নূতন করিয়া ধান কর না। গোপী । ধৰ্ম্মাবতার, যে লোকসান জমা পড়ে আছে তাহ। হইতে ৯ বিঘা কেন ২০ বিঘা পাট্টা করিয়া দিতে পারি।