পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীনবন্ধু-গ্রন্থাবলী ولا হেমৰ্চাদের পিচুটিনয়ন বঙ্গভারতী বিষয়ক বক্তৃতা এবং নদেরটাদের কন্যা-লীলাবতী-সন্দর্শন বাংলা সাহিত্যে অক্ষয় হইয়া আছে। কিন্তু মূল লীলাবতী-চরিত্র মোটেই বাস্তব হয় নাই । “এখানে অভিজ্ঞতার অভাব ...লীলাবতী বা কামিনীর শ্রেণীর নায়িকা সম্বন্ধে তাহার কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। ছিল না, কেন না, কোন লীলাবতী বা কামিনী বাঙ্গালা সমাজে ছিল না বা নাই।” ( বঙ্কিম-রচনাবলী, বিবিধ, পৃ. ৯২ ) ১৮৭১ খ্ৰীষ্টাব্দে মহেশপুর গ্রামে এবং ৩০ মার্চ ১৮৭২ তারিখে বঙ্কিমচন্দ্র, অক্ষয়চন্দ্র সরকার প্রভৃতির উদ্যোগে চুচুড়ায় মহাসমারোহে লীলাবতীর অভিনয় হয়। বাগবাজার অ্যামেচার থিয়েটার কর্তৃক ১৮৭২ খ্ৰীষ্টাব্দের ১১ই মে শ্যামবাজারের রাজেন্দ্রনাথ পালের বহিৰ্ব্বাটীর প্রাঙ্গণে স্থাপিত রঙ্গমঞ্চে কলিকাতায় ‘লীলাবতীর সর্বপ্রথম অভিনয় হয় । অৰ্দ্ধেন্দুশেখর, গিরিশচন্দ্র, রাধামাধব কর, নগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি বাংলা রঙ্গমঞ্চের ধুরন্ধরেরা বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। প্রকৃতপক্ষে লীলাবতীর এই অভিনয়ই কলিকাতায় সাধারণ-রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার অগ্রদূতস্বরূপ হইয়াছিল। এই সম্পর্কে ‘বঙ্গীয় নাট্যশালার ইতিহাস’ (২য় সংস্করণ), পৃ. ৯১-৯৮ দ্রষ্টব্য।