পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দৰ্পণ 89 এক জন রাইয়ত, দুই জন ফৌজদারির পেয়াদা এবং কুটির তাইদুদিগের প্রবেশ রাইয়ত। বড়বাবু, মোর ছেলে হুটোরে দেখে, তাদের খাওয়াবার আর কেউ নেই—গেল সন আট গাড়ী নীল দেলাম তার একটা পয়সা দেলে না, আবার বকেয়াবাকী বলে হাতে দড়ি দিয়েছে, আবার আন্দারাবাদ নিয়ে যাবে— তাইদ । নীলের দাদন ধোপার ভ্যালা, এক বার লাগলে আর ওটে ন—তুই বেট চল, দেওয়াঞ্জির কাছ দিয়ে হোয়ে যেতি হবে । তোর বড়বাবুরও এমনি হবে । রাইয়ত । চল যাব, ভয় করি নে, জেলে পচে মরবো তবু গোডার নীল করবে। না—হা বিদেতা, হা বিদেতা, কাঙ্গালেরে কেউ দেখে না (ক্ৰন্দন ) বড়বাবু মোর ছেলে দ্বটোরে খাতি দিও গে, মোরে মাটেক্তে ধরে আনলে তাদের একবার দ্যাকৃতি পালাম না । নবীনমাধব ব্যতীত সকলের প্রস্থান নবীন । কি অবিচার । নবপ্রসূতি শশার কিরাতের করগত হইলে তাহার শাবকগণ যেমন অনাহারে শুষ্ক হইয়া মরে, সেইরূপ এই রাইয়তের বালকদ্বয় অন্নাভাবে মরিবে । রাইচরণের প্রবেশ রাই । দাদা ন ধল্লিই গোডার মেয়েরে দাম টাস করেলাম, মেরে তো ফ্যালতাম, ত্যাকন না হয়, ৬ মাস ফঁাসি যাতাম, শালি – - নবীন। ও রাইচরণ, কোথায় যাস ?