পাতা:দুঃখিনী - জলধর সেন.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃখিনা । রম। সে বড় শক্ত কথা। দাদা বেীকে বড় ভাল জানেন, আর বৌয়ের বিরুদ্ধে কিছু করিলে দাদা নিশ্চয়ই বুঝিতে পরিবেন। -५८यै ठाभद्र राiछ । কৈলাস। আরে আমি যা বলি, তা করলে কেউ জানতে পারবে না। তোমাদের বাড়ীর পাশে যে ডাক্তার বাবু আছে, সে তোমাদের বাড়ীতে প্ৰায়ই যায়, বৌয়ের ব্যারাম হইলে দেখে শুনে, তোমার দাদাও তাকে খুব বিশ্বাস করেন, তঁারি সঙ্গে বৌয়ের একটা বদনাম দিয়ে একখানা পত্র লিখিলেই ব’স। রমানাথ অনেকক্ষণ চিন্তা করিল। বোধ হয়, তাহার মনের মধ্যে সুমতি ও কুমতি বিবাদ উপস্থিত করিয়াছিল; কিন্তু অবশেষে কুমতিরই জয় হইল। পাড়ার একজন লোকের দ্বারা ডাক্তার বাবুর জবানি একখানি পত্র বৌয়ের নামে লিখাইয়া লইল এবং সেখানি ডাকে দিয়া আসিল। যথাসময়ে পত্ৰ আসিয়া পৌছিল। পত্ৰাদি আসিলে বাহিরে চাকরের নিকট থাকে। বাবু বাটীতে আসিলে তিনিই সমস্ত পত্র দেখেন এবং দুঃখিনীর পত্রও নিজে খোলেন। দুঃখিনীর ইহাতে আপত্তি ছিল না, কারণ স্বামীর নিকট হইতে গোপন করিবার তাহার কিছুই ছিল না ; কিন্তু সেদিন বাবুর নামে অন্য চিঠি ছিল না, কেবল দুঃখিনীর নামেই একখানি পত্র। রমানাথ চাকরকে পত্রের কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। চাকর পত্র দেখাইল, রমানাথ বলিল “বোঁ বলেছে, যে তাহার পত্ৰ যেন আর বাবুর হাতে না পড়ে ; তুই বৌকেই পত্ৰ দিয়া আসিস”। অপরিচিত হস্তাক্ষর দেখিয়া দুঃখিনী ঠিক করিতে পারিল না। এ RR