পাতা:দুঃখিনী - জলধর সেন.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃখিনী । হইলেন, তিনি চারিদিকে নানা বিপদ দেখিতে লাগিলেন। যতই দিন যাইতে লাগিল, ততই তিনি বুঝিতে পারিলেন যে, তাহার চারিদিকে নানা বিপদ আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। রামসত্যের উপাৰ্জনের ক্ষমতা ছিল না,—অথচ মাসে দশ টাকার কমে সংসার চলিত না, তাহার পরে মহাজনের ঋণ আছে। দুঃখিনীর বিবাহে যে টাকা ঋণ হইয়াছিল, তাহার একটি পয়সাও শোধ হয় নাই,--কোথা হইতে শোধ হইবে ? দুঃখিনী মনে করিয়াছিলেন, স্বামীর নিকট হইতে ধীরে ধীরে দুই এক টাকা লইয়া তিনি ঋণ পরিশোধ করিবেন, কিন্তু এতদিন তাহা করিতে পারেন নাই। দুঃখিনী এতদিন দেখিয়াছিলেন, ভজহরি যাহা বেতন পান, তাহাতে তাহার সংসার খরচ হইয়া অতি কমই বঁাচে । মাসে মাসে বাটীতে টাকা পাঠাইতেই হইবে। দুঃখিনী কোনদিন একখানি অলঙ্কারের জন্য আবদায় করেন নাই। যখনই ভজহরি দুঃখিনীর কোন অলঙ্কার প্রস্তুতোয় কথা বলিয়াছেন, তখনই দুঃখিনী সুশীলার ( ভজহরিয় ভগিনীয় ) ২কিবাহে অনেক টাকা লাগিবে, তাহার জন্য সঞ্চয় করা দরকায় বলিয়া অলঙ্কার গড়াইতে নিষেধ করিয়াছেন। কাজেই এতদিন পিতৃঋণ পরিশোধের क५।। তিনি মুখেও আনিতে পারেন নাই। তিনি ভাবিতেন, তঁহার স্বামীর উপার্জনের অর্থ 'অগ্ৰে তাহার নিজ পারিবারিক অভাব মোচন এবং সচ্ছলতার জন্ত ব্যয়িত হইবে, তাহার পরে যদি কিছু বঁাচে, তবে তিনি তাহ অন্য ব্যাপারে ব্যয় করিতে পারেন। তবুও দুঃখিনী বাসা খরচের টাকা হইতে ২ ১ টাকা বঁাচাইয়া অনেক সময়ে পিতাকে পাঠাইবার ইচ্ছা করিতেন ; কিন্তু «9ዓ