পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিধু পিতার পদধূলি লইয়া বলিল-তাহলে যাই বাবারামতারণের চোখে জল আসিল । বলিলেন-এস বাবা, সাবধানে থেক । যা তা খেও না-আমি যদুবাবুকে লিখে দিলাম। তিনি তোমাকে দেখিয়েটেখিয়ে দেবেন, সুলুক-সন্ধান দেবেন। অত বড়লোক যদিও আজ তিনি, এক সময়ে দুজনে একই বাসায় থেকে পড়াশুনো করেচি। তিনিও গরিবের ছেলে ছিলেন, আমিও তাই। গাড়ি যেন একটু সাবধানে চালিয়ে নিয়ে যায় দেখো । কথাটা ঠিক বটে, তবে রামতারণ যে গরিব সেই গরিবই রহিয়া গিয়াছেন, যদু বঁাড় যে আঙুল ফুলিয়া কলাগাছা হইয়া খ্যাতি-প্রতিপত্তি, বিষয়আশয় এবং নগদ টাকায় বতর্মানে মহকুমা আদালতের মোক্তার-বারের শীর্ষস্থানীয়। যদু বঁড়িয্যের বাড়ি প্রাসাদোপম না হইলেও নিতান্ত ছোট নয়, যে সময়ের কথা হইতেছে, তখন সারা টাউনের মধ্যে আমন ফ্যাসানের বাডি একটিও ছিল না-আজকাল অবশ্য অনেক হইয়াছে। নিধু ফটকের সামনে গরুরগাড়ি রাখিয়া কম্পিতপদে উঠান পার হইয়া বৈঠকখানাতে ঢুকিল। মহকুমার টাউনে তার যাতায়াত খুবই কমকারণ সে লেখাপড়া করিয়াছে তাহার মামা-বাড়ির দেশ ফরিদপুরে। যদু বািড়য্যে মহাশয়কে সে কখনো দেখে নাই। সকালবেলা। পসারওয়ালা মোক্তার যদু বাড়িয্যের সেরেস্তায় মস্কেলের ভিড় লাগিয়াছে। কেহ বৈঠকখানার বাহিরের রোয়াকে বসিয়া তামাক খাইতেছে, NO