একঘাট জল ও গামছা আনিয়া নিধুর সামনে রাখিয়া বলিলেন-হাত মুখ আগে ধুয়ে ফেল বাবা, বলচি সব কথা। নিধুরা আপন মা নাই, ইনি সৎমা এবং রমেশ নিধুর বৈমাত্রেয় ভাই। রমেশ বলিল-দাদা একটা ডাব খাবে ? আমি একটা ডাব এনেছিলাম বন্ধুদের १iछ ८थgक । নিধুর মা ধমক দিয়া বলিলেন-যাঃ, বৰ্ষাকালের রাত্তিরে এখন ডাব খায় কেউ ? তারপর জর হােক। তুই হাত মুখ ধুয়ে নে—আমি খাবার, নিয়ে আসিখাবার অন্য কিছু নয়, চাল ভাজা আর শহর থেকে সে বাড়ির জন্য যে ছানার গজা আনিয়াছে তাহাই দুখান। জলপান শেষ করিয়া নিধু কৌতুহল বশত লালবিহারীবাবুর বৈঠকখানার বাহিরে গিয়া দাড়াইয়। দেখিতে লাগিল। সেই স্থূলকায় ভদ্রলোকটি তাহাকে দেখিতে পাইয়া বলিলেনওখানে দাড়িয়ে কে ? ভেতরে এস ন|- নিধু সসস্কোচে বৈঠকখানার ভেতরে ঢুকিতে রামতারণ চৌধুরী ব্যস্ত সমস্ত হইয়া বলিলেন-নিধু কখন এলে ? এটি আমার ছেলে-এরই কথা বলছিলাম তোমাকে। মোক্তারীতে ঢুকেচে এই সবেস্থূলকায় ভদ্রলোকটিই লালবিহারী চাটুজ্যে-নিধু তাহা বুঝিল। সে বাবাকে ও লালবিহারীকে আগে প্ৰণাম করিয়া পরে একে একে অন্যান্য বয়োজ্যেষ্ঠ প্ৰতিবেশীদেরও প্ৰণাম করিল। লালবিহারী চাটুজ্যে বলিলেন-বস, বস। তারপর পসার কেমন হচ্ছে ? নিধু বিনীতভাবে বলিল-আজ্ঞে, এক রকম হচ্চে। সবে তো বসেচি- , লালবিহারী পূর্বস্বতি মনে আনিবার ভাবে বলিলেন-তোমার মতো। আমিও একদিন প্র্যাকটিস করতে বসেছিলাম বহরমপুরে। তিনবছর ওকালতি করেছিলাম। সে সব দিনের কথা আজও মনে আছে।--বেশ RV