পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মঞ্জুর মা কিন্তুর গুণাবলীর শ্ৰেষ্ঠত্ব প্ৰতিপন্ন করিতে ব্যগ্র হইয়া বলিলেনও একখানা কাগজ আগেই বের করেছিল, ওঁর সঙ্গে কাজ করেন বি. দাসগুপ্ত নাম শুনেচ তো ? সবজজ-খুব পণ্ডিত লোক, তিনি দেখে বলেছিলেন এমন লেখামঞ্জু সলজ প্রতিবাদের সুরে বলিল-আচ্ছা, মা-কেন আমায় বললি সব কথা, ফাস করে ফেলি যে ? যখন করলাম ফঁািস, তখন ভালো করেই ফাস করা ভালো । মধু আবদারের সুরে বলিল—ম, নিধুদাকে রাত্তিরে এখানে খেতে বল না ? আমরা সব একসঙ্গেমঞ্জুর মা বলিলেন-আজ তো খাবার তেমন কিছু ভালো নেই-কি খাওয়াবি নিধুদাকে ? তার চেয়ে কাল দুপুরে ওঁর জন্মদিনে পােলাও মাংস হবে, ভালো খাওয়া-দাওয়া আছে, কাল নিধু এখানে তো খাবেই-না মা, মাংস দরকার নেই শুভদিন, তোমার পায়ে পড়ি মা । বাবাকে আমি বলব। এখন—আর আমি বলি শোনো মা ! নিধুদা ঘরের ছেলে, DY0 DBB DDD DBDBJYYBB DBKSJD KBeJS তাহাকে লইয়া মাতাপুত্রীর এত কথা হওয়াতে প্রথমটা নিধু কেমন অস্বস্তি বোধ করিতেছিল। কিন্তু ইহার এত সহজ ভাবে সে কথা বলিতেছে যে নিধুর ক্রমশ বোধ হইতে লাগিল যে এই পরিবারের সঙ্গে তাহার বহুদিনের পরিচয়-সত্যই সে “ যেন তাহদের ঘরের ছেলেই। এখানে আজ রাত্ৰে খাইতে কিন্তু নিধুর যে আপত্তি ছিল—তাহ অন্য কারণে। সে বাড়ি ফিরিয়াই বিকালে দেখিয়াছে তাহার জন্য মা বসিয়া বসিয়া কচুর শাক কুটিতেছেন। কোনো কিছুর বিনিময়েই সে মা’র রান্না কচুর শাককে উপেক্ষা করিয়া মা’র প্রাণে কষ্ট দিতে পরিবে না। কথাটা সে অন্য ভাবে ঘুরাইয়া মধুকে বলিল । ܠܢ