পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাইরের ঘরটিতে দুখান বেতের কোঁচ, দুখান টেবিল, খান চার পাঁচ চেয়ার পাতা। একটা ছোট আলমারিতে অনেকগুলি বাংলা ও ইংরাজি বাঁই-দেওয়ালে কয়েকখানি ফটো, কয়েকখানি ছবি। তাহার মধ্যে একখানি ছবি নিধুর বেশ ভালো লাগিল। একটা গাছের তলায় দুটি হরিণ ক্রীড়ারত-দূরে কোনো স্রোতস্বিনী, অপরপারে কাননভূমি, আকাশে মেঘের ফাকে চাদ উকি মারিতেছে। সে সাধন ভট্চাজকে ছবিখানি আঙুল দিয়া দেখাইয়া বলিল-দেখুন, কি চমৎকার না ? সাধন ভট্চাজ মোক্তারী করিয়া ও মঙ্কেল শিখাইয়া বহুকাল অতিবাহিত করিয়াছেন, কিন্তু কোন জিনিস দেখিতে ভালো, কোনটা মন্দ, ইহা লইয়া কখনো মাথা ঘামান নাই। সুতরাং তিনি অনাসক্ত ও উদাসীন দৃষ্টিতে দেওয়ালের দিকে চােখ তুলিয়া চাহিয়া বলিলেন-কোনটি? ওथान ? ईJi, उ 6दर्भ । এমন সময় সুনীলবাবু একটা সিগারেটের টিন লইয়া ঘরে ঢুকিয়া নিধুর সামনের টেবিলে টিনটি রাখিয়া বলিলেন-খাননিধু তো এমনি কখনো ধূমপান করে না, সাধন ভট্চাজ করেন বটে। কিন্তু হাকিমের সামনে কি করিয়া সিগারেট টানিবেন ? সে ভরসা তঁহার হয় না । সুতরাং যেখানকার সিগারেটের টিন, সেখানেই পড়িয়া রহিল। সাধন ভট্চাজ কৃত্রিম খুশির ভাব মুখে আনিয়া বলিলেন-চমৎকার ছবিগুলো আপনার ঘরেসুনীলবাবু বলিলেন- এখানে ভালো ছবি কিছু আনিনি। হয়েচে কি, ভালো ছবি কিনবার রেওয়াজ আমাদের বাঙালীর মধ্যে নেই বললেই হয়। আমরা ছবির ভালোমন্দ প্রায়ই বুঝিনে। অনেক সময় নিকৃষ্ট বিলিতি ওলিওগ্রাফ কিনে এনে বৈঠকখানায় জাক করে বঁধিয়ে রাখি-সাধনবাবু AS