পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিধু ঘরের মধ্যে পালাইবার উপক্ৰম করিতে মা বলিলেন-দাড়া, যাসনে কোথাও যেন। একটু মিছরি ভিজিয়ে রেখেচি, আর শশা কেটেঘরের মধ্যে ঢুকিয়া নিধু দেখিল তাহার ফর্স কাপড় মিজের কাছেও কিছু নাই । আজি সভায় জজগিরি করিবে কি করিয়া। তবে ? মাকে সেকথা নাইল। নিধুর মা বলিলেন-তা আমি এখন কি করি বাপু ! এ যে অন্যায় কথা হল ! কর্তার একটা সেকেলে পাঞ্জাবী আছে--সেটা তোর १८ञ्च छ् ? --তা বোধ হয় হতে পারে। বাবা তো মোটামানুষ নন, আমারই মতেদেখি কেমন ? কিন্তু শেষে দেখা গেল সে পাঞ্জাবীর গলার কাছে পোকায় কাটিয়া ফেলিয়াছে অনেকখানি । তাহা পরিয়া কোথাও যাওয়া চলে না । নিধুর মা স্মৃতিবিহবল দৃষ্টিতে পাঞ্জাবীটার দিকে চাহিয়া বলিলেন-উনি তৈরি করেছিলেন তখন এই তিন-চার মাস আমাদের বিয়ে হয়েচে । তখন কি চেহারা ছিল কতার! চুয়োডাঙায় জমিদারী সেরেস্তায় চাকুরি করতেন । তোর মতো শনিবার শনিবার বাড়ি আসতেনমায়ের চোখে এমন অতীতের স্বপ্নভরা দৃষ্টি নিধু আরও দু-একবার দেখিয়াছে। তখন সে নিজে চুপ করিয়া থাকে, কোনো কথা বলে না। তাহার মন কেমন করে মায়ের জন্য । বড় ভালোমানুষ । সৎমা বলিয়া নিধু বাল্যকাল হইতেই কখনাে ভাবে নাই-তিনিও সংছেলে বলিয়া দেখেন নাই। নিজের মায়ের কথা নিধুর মনেই হয় না। মা বলিতে সে ইহাকেই বোঝে। -চারুর জামা তোর গায়ে হয় না ? দেখি গিয়ে না হয় চারুর মা’র zşİÇk Çb05 ? -থাক মা, তোমায় এখানে-ওখানে বেড়াতে হবে না জামার জন্যে । YG