পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুনিয়ার দেন। SRS উন্নতি নিয়েই তিনি পড়ে আছেন। একখানি চিকিৎসার ও একখানি আইনের ছোট বই ছাপিয়ে গায়ের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পড়ােনর ব্যবস্থা করেছেন যাতে এ বিষয়ে তারা অজ্ঞ না থাকে। নিজে সম্পূর্ণ একেলে হয়ে ও সেকালটিকে পুরন্দর ষোল আনা নিজের মধ্যে বজায় রেখেছেন। বেশভূষা চাল চলন দেখে তিনি সহুরে কি পাড়া গেয়ে বোঝা দায় । চার পুরুষ তাদের সহচরে বাস গেয়ে অনাড়ী ভাব তারা অনেক দিন ছাড়িয়ে গেছেন অ্যাবার সৌখিন সাহুরে ঢাল চলন ও ঢের মন্থন করে এসেছেন। কোন দিকে তার কমতি নেই ; এখন তিনি এ দুয়ের উপর । গায়ের লোক তাকে বাবা ঠাকুর বলে ডাকে । ঝকঝকে তাক তাকে মেজেট পাকা করে বাধানো, খোড়ো চালের একখানা বড় গোছের মাটির বাড়ীর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে, দরজার বাইরে থেকে, পুরন্দর চক্ৰবৰ্ত্তী হঁকলেন, কেবলরাম ! সাড়া পেয়ে আধা বয়সী চাষী কেবলরাম হরিণ চামড়ার একখানা অসন হাতে করে, ব্যস্ত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এল । কেবলরামের বয়স চল্লিশ বেয়াল্লিশ হবে, বেশ সুশ্ৰী সুন্দর চেহারা । রঙ উজ্জ্বল শ্যামবৰ্ণ, লম্বা, দোহারা গড়ন চাল চলন অত্যন্ত ভদ্র, নম্র ও শিষ্টাচার যুক্ত। একে দেখলে আর বলবার যে নেই যে, “গেয়ে চাষ ভুত।” বাড়ীতে তার গাইগারু দশটা,