পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o দুনিয়ার দেনা 噶 একটুখানি গিয়েই বাগান। কতকগুলো সার বাঁধা সুপুরি ও নারকেল গাছ, ঘেঁসাঘেসি বসানো কতকগুলো আম গাছের জঙ্গল, দুটাে চারটি বেল, তাল, পেয়ারা গাছ এদিক ওদিক ছড়িয়ে, কিনারায় কতকগুলো বাঁশ ঝাড আর মাঝখানে দুটো পুকুর । পুকুর দুটো একটা ডোবা বল্লেই হয়, পানায় ঢাকা এদো পড়া, একটার জল ভালো, তাতে একটা বঁধানে ঘাটিও আছে । পাড়া-প্ৰতিবেশী का जल चल झांद्धि भू ि७ फ्रैंgांल। cद्धाभ शानहकद्ध মধ্যে ভদ্রলোকের বাস নেই বল্লেই হয় । কাচিৎ যদি দু'একঘর দেখা যায়। বাগানটা বহুকালের পোড়ো, কেউ কখনো তাতে বাস করেন। হাড়ি মুচিব্দের মেয়েরা, দিনের বেলা, দুচার কলসী জল নিতে বাগানের মধ্যে যাওয়া-আসা করে-পুকুরটার জল ভাল ব’লে, সন্ধ্যার পর সেদিকে জনমানবের চলাচল নেই । লোকটা বাগানের মধ্যে দুকেই বলে, “হা, এখানে আমি থাকতে পারব”। তাকে সেইখানে রেখে স্ত্রীলোকটি বাড়ী ফিরে গেল। কিছুক্ষণ পরে ফল, মিষ্টান্ন বোঝাই একটা চাঙ্গার মাথায় একজন মুটে এসে বাগানে ঢুকাল। চাঙ্গারীর উপর গায়ে দেবার নূতন একখানা চাদর। মানুষটির সামনে চাঙ্গারী নামিয়ে মুটে বল্লে “মােঠাকরুণ আপনার জন্যে পাঠিয়েছেন”। ব’লে, চাঙ্গারীটা রেখে মুটে চলে গেল।