পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুর্নীতির পথে

 তারপর বুরো রুইসনের করুণাপূর্ণ এক লেখা উদ্ধৃত করিয়াছেন:—

 “এই সব অশ্লীল সাহিত্য লোকের মহা অনিষ্ট সাধন করে। ইহার বিক্রয়াধিক্য দেখিয়া বলা যায় যে, লক্ষ লক্ষ লোকে এগুলি পড়ে। পাগলাগারদের বাহিরেও কোটি কোটি পাগল বাস করে। পাগল যেরূপ তাহার এক নিরালা দুনিয়ায় বাস করে, এই সব বই পড়ার সময় লোকে সেইরূপ এক নৃতন দুনিয়ায় বাস করে এবং তখন জগতের কথা তাহাদের মনে হয় না। অশ্লীল সাহিত্যের পাঠকগণ কল্পনার সাহায্যে ইন্দ্রিয়-ভোগের স্বপ্ন-রাজ্যে বাস করে এবং নিজেদের কর্তব্য ভুলিয়া যায়।”

 ইহার একমাত্র কারণ লোকের এই ধারণা আছে যে, ইন্দ্রিয়সেবা করা মানুষের জন্মগত অধিকার এবং বিষয়-ভোগ না করিলে মানুষের পূর্ণ বিকাশ হইতে পারে না। যখন এরূপ ধারণা কোনো লোককে পাইয়া বসে, তখন তাহার সব চিন্তার ধারা উল্টাইয়া যায়। যাহাকে সে এককালে পাপ মনে করিত, তাহাকে সে পুণ্য মনে করে এবং নিজের পাশববৃত্তি চরিতার্থ করার জন্য নূতন নূতন উপায় উদ্ভাবন করে।

 কিরূপে দৈনিক সংবাদ-পত্র, মাসিক পত্রিকা, উপন্যাস, চিত্র ও নাট্যশালা প্রভৃতি এই মনুষ্যত্ব-নষ্টকারী রুচির থোরাক ক্রমবর্দ্ধমান ভাবে যোগাইতেছে তাহা তিনি বিশেষ প্রমাণ প্রয়োগে দেখাইয়াছেন।

 অবিবাহিতদের মধ্যে যে নৈতিক অধঃপতন হইয়াছে, তাহা বলার পর শ্রীযুক্ত বুরো বিবাহিত জীবনের ভ্রষ্টাচার সম্বন্ধে লিখিয়াছেন। তিনি বলেন, “সম্ভ্রান্ত শ্রেণী, মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ও কৃষকদের অধিকাংশ বিবাহের মূলে আছে বৃথা অভিমান, চাকুরী অথবা সম্পত্তির লোভ, বৃদ্ধ বয়সে অথবা অসুখের সময় দেখাশুনার জন্য একজন লোকের