পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
দুর্নীতির পথে

পুষ্টির বাধা দেয় না; ইহা শক্তি বৃদ্ধি করে এবং বুদ্ধিকে প্রখর করে। ইন্দ্রিয়-পরায়ণতা আত্ম-সংযমের শক্তি হ্রাস করে, অলসতা বৃদ্ধি করে, শরীরকে অকর্মণ্য ও ঘৃণ্য করে এবং ইহাকে এমন সব রোগের আকর করে, যেগুলি পরবর্ত্তী অনেক পুরুষ পর্যন্ত সংক্রামিত হয়। যুবকদের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ইন্দ্রিয়সেবা দরকার, এ কথা শুধু ভুল নহে, ইহা মিথ্যা ও অনিষ্টকর এবং ভয়ানক নিষ্ঠুরতাপূর্ণ।”

 ডাক্তার সারব্লেড লিখিয়াছেন, “অসংযমের ফল যে খারাপ তাহা অবিসংবাদিত এবং সর্ব্বজনবিদিত, পরন্তু সংযমের ফল যে খারাপ তাহা কল্পিত মাত্র। অনেক প্রসিদ্ধ বিদ্বান লোকে প্রথমটি সমর্থন করেন, কিন্তু কোনো পণ্ডিত ব্যক্তি শেষোক্ত মত সমর্থন করেন না। শেষের দলের লোকে প্রকাশ্যভাবে তাহাদের মত আলোচনা পর্য্যন্ত করিতে চান না।

 ডাক্তার মোণ্টেগাজা তাঁহার এক পুস্তকে লিখিয়াছেন, “সংযমের ফলে কাহারও কোনো ব্যাধি হইতে দেখি নাই। সব লোকে বিশেষতঃ যুবকেরা সংযমের টাটকা ফল প্রত্যক্ষ করিতে পারেন।

 বিখ্যাত অধ্যাপক ডুবয় বলেন, “যাহারা অধিক ইন্দ্রিয়সেবা করে তাহাদের অপেক্ষা যাহারা কিছু সংযত জীবন যাপন করে, তাহাদের মধ্যে স্নায়বিক দৌর্বল্য কম।” ডাক্তার ফিয়ার বলেন, “যাহারা মানসিক পবিত্রতা রক্ষা করিতে পারে, ভোগ-বিরতি তাহাদের কোনো অনিষ্ট করে না এবং ইন্দ্রিয়-চরিতার্থ করার উপর স্বাস্থ্যরক্ষা নির্ভর করে না।”

 অধ্যাপক আলফ্রেড ফোর্ণিয়ার লিখিয়াছেন, “সংযম রক্ষা করিলে যুবকদের অনিষ্ট হয়, এরূপ অযোগ্য ও তরল আলোচনা কোথাও কোথাও হইয়া থাকে জানি। আমি দৃঢ়তার সহিত ঘোষণা করিতেছি যে, ইহাতে কোনো অনিষ্ট হয় না। চিকিৎসক হিসাবে আমার এইরূপ