পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপসংহার
৪৭

লওয়ার বিরোধী। তিনি বলেন, “ইহার ফলে আত্মসংযমের কোনো তাগিদ থাকে না এবং বিবাহিত স্ত্রী-পুরুষের পক্ষে ইচ্ছার হ্রাস না হওয়া অথবা বৃদ্ধত্বের অক্ষমতা না আসা পর্যন্ত বীর্য্যনাশ করা সম্ভব হয়। ইহা ভিন্ন বিবাহিত জীবনের বাহিরেও ইহার একটা প্রভাব পড়ে। ইহা হইতে অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল এবং নিষ্ফল মিলনের দরজা খুলিয়া যায়; ইহা আধুনিক শিল্প, সমাজ ও রাজনীতি অনুসারে বিপদসঙ্কুল। পরন্তু এখানে এ সম্বন্ধে পুরাপুরি বিচার করার কোনো দরকার নাই। তবে ইহা বলা যথেষ্ট যে, কৃত্রিম উপায়ে গর্ভনিরোধের ফলে বিবাহিত অবিবাহিত উভয়বিধ জীবনে, অনুচিত ও অত্যধিক ইন্দ্রিয়-সেবার সুবিধা হয়, এবং যদি আমার পূর্ব্বের শরীর-শাস্ত্র সম্বন্ধীয় পেশ করা যুক্তি ঠিক হয়, তবে ইহাতে ব্যষ্টি ও সমষ্টির ক্ষতি নিশ্চিত।

 শ্রীযুক্ত বুরো যে কথা বলিয়া তাঁহার পুস্তক শেষ করিয়াছেন, তাহা প্রত্যেক ভারতীয় যুবকের অন্তরে গাঁথিয়া রাখা উচিত। সে কথা এই, “যাহারা সংযমী ভবিষ্যৎ সেই সব জাতির হাতে।”