পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৬৯
দুর্নীতির পথে
৬৯

সামাজিক সম্ভোগনীতি ইহার মুখ্য উদাহরণ বিবাহ প্রথা। শিক্ষিত বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতগণ বিবাহের ইতিহাস সম্বন্ধে অনেক কিছু লিখিয়াছেন এবং এ সম্বন্ধে প্রচুর মালমসলা সংগ্রহ করিয়াছেন। এজন্য আজকাল বিবাহ-প্রথায় যে পরিবর্তনের কথা শুনা যাইতেছে, তাহার উল্লেখ করার সময় বৈজ্ঞানিক দের সিদ্ধান্তের সারাংশ দেওয়া যাইবে। মানবের মধ্যে সন্তান উৎপাদন সম্বন্ধে পিতার অপেক্ষা মাতার মহত্ব অধিক। মাতাকে কেন্দ্র করিয়াই পরিবার গঠিত হয়। বাস্তবিক এক সময় মাতার শাসনবিধিই ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল এবং বহুপতিত্ব বা এক স্ত্রীর বহু পুরুষের সহিত মিলনের প্রথা প্রবর্তিত হইয়াছিল। এশিয়ার কতকগুলি আদিম জাতির মধ্যে এখনও এই প্রথার জের বিদ্যমান আছে। স্বামীদের ভিতর যে সৰ্ব্বাপেক্ষা বলবান সুন্দর ও রক্ষাকাৰ্য্যে সুনিপুণ ছিল, স্ত্রীর নিকট ধীরে ধীরে তাহার আদর বাড়িতে লাগিল এবং কালে স্বামীপদ সৃষ্টি হইল। ইংরেজী ভাষায় husband শব্দের অর্থ পতি অথবা গৃহপতি। husband শব্দ husbnondi শব্দ হইতে উদ্ভূত ; husbuondi শব্দের অর্থ, যে ঘরে থাকে। এই একটি শব্দ বিবাহপ্রথার অনেক কিছু ইতিহাসপূর্ণ। সকল পতির ভিতর হইতে যে পতি পত্নীর সহিত ঘরে থাকিত, তাহাকে স্বামী বা গৃহপতি বলা হইতে লাগিল। ক্রমে সে ঘরের মালিক হইল এবং গৃহপতি সম্প্রদায়ের কেহ কেহ সরদার বা রাজা হইল। নারীজাতির শাসনকালে যেমন বহুপতিত্ব চলিয়াছিল, পুরুষজাতির শাসন সুরু হইতেই বহুপত্নীত্ব চলিত হইল। এজন্য সামাজিক ভাবে না হইলেও মনােবিজ্ঞানের দিক দিয়া শ্ৰী স্বভাবত বহুপতিত্ব এবং পুরুষ স্বভাবত বহুপত্নীত্ব পছন্দ করে। পুরুষ নিজের ইচ্ছায় চারিদিকে ছুটাছুটি করিয়া সর্বাপেক্ষা সুন্দরী নারীর খাে।