পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেদিকে দেখলাম ওর বেশ দৃষ্টি আছে। এ অঞ্চলে চালে কঁকার ব’লে সে নিজে সকালে কুলো নিয়ে বসে প্ৰায় আধমণ চাল বাড়লে । বেলা ন’টার সময় হঠাৎ এসে আমাৰ বললে--আপনার ময়লা জামা-বাপড যদি পুটলিতে থাকে ত দিন, কেচে দেবো। আপনার গায়ের জামাটাও ময়লা হয়ে গিয়েছে, খুলে দিন। খুব রোদ, দুপুরের মধ্যে শুকিয়ে যাবে } আমি প্রথমটা একটু সন্ধুচিত হযে পড়েছিলাম। তার পর দেখলাম সে সকলকেই জিজ্ঞেস করছে। কার ও ময়লা কাপড়-চো সড কিছু আছে কিনা। এক জন বৃদ্ধ বাউলের গেকয আলখাল্লা ময়লা হয়েছিল ব’লে খুলিযে নিযে গেল। পরে শুনলাম মেয়েটি ওরকম প্রায়ই কলে, আখড়াতে ময়ল-কাপডে থাকবাব জো নেই। এখানে দিন দুই কাটবার পবে। আর একটা জিনিস আমার বিশেষ ক’রে চোখে পড়ল ক্ষে, মেয়েটিব মধ্যে কোন মিথ্যে সঙ্কোচ নেই, সহজ সিধে ব্যবহার, কি কাজে, কি কথাবাৰ্ত্তব্য সজীব ও দীপ্তিময়ী, যেন পঞ্চারিণী দীপশিখা, যদি শ্যামাঙ্গী মেয়েকে দীপশিখাব সঙ্গে তুলন। করা যায়। তৃতীয় দিন বিকেলে এসে বললে-পুকুরপাড়েব বাগান দেখেছেন ? আহ্বান দেখিয়ে নিয়ে আসি । এই কথাটা আমার বড় ভাল লাণাল-এ পৰ্য্যন্ত আমি কোন মেয়ে দেখি নি যে বাগান ভালবাসে, দেখাবার জিনিস ব’লে মনে কবে । ও* সঙ্গে গেলাম। অনেক গাছ আমাকে সে চিনিয়ে দিলে। কাঞ্চন ফুলেব গাছ এt প্ৰথম চিনলাম। এক কোণে একটা বড়। তমাল গাছের তলায় ইটের একটা তুলসীমঞ্চ ও কেন্দ” দেখিয়ে বললে-বাবা এখানে বসে জপ করতেন । জিজ্ঞেস করলাম-আপনার বাবা এখন কোথায় ? মেয়েটি কেমন যেন একটা বিস্ময়ের দৃষ্টিতে আমাব দিকে চেয়ে বললে-বাবা তো •ে 2, এই চার বছর হ’ল মারা গিয়েছেন। এই ষে পুকুরটা, বাবা কাটিয়েছিলেন, আর এই বকুল গাছের ওপাশে বিষ্ণমন্দিব তুলছিলেন, শেষ ক’রে যেতে পারেন নি। এই কথায় সূত্র খুঁজে পেলাম ওর সম্পূর্ণ পরিচয় জিজ্ঞেস করবার। এ দু-দিন কাউকে ওৰ সম্বন্ধে কোন কথা বলি নি, পাছে কেউ কিছু মনে করে। কৌতুহলের সঙ্গে বললাম-আপনার বাবার নামেই বুঝি এই আখড ? ASLSS DBBDBBBB DBDDDBD DDDD DDS DDD KKKS BDB DBDD BDt D DBBE মুখুয্যে। লোচনদাস এই আখড়া ব্যপান, কিন্তু মা-বার সময়ে বাধার হা৩ে এর ভর দিয়ে যান। তারপর বাবা আট-ন’ বছর আখড়া চালান। আখড়ার নামে যত ধানের জমি, সব বাবার | আসুন, বিষ্ণুমন্দির দেখবেন না ? ጏቅ..ህ”