পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাতে কোথাও গিয়ে আমার শান্তি হবে ? মালতীর মুখে এ ধরনের গভীর কথা-বিশেষ করে ওর নিজের জীবন নিয়ে-এই প্ৰথম শুনলাম। সব জিনিস নিয়ে ও হালকা হাসি-ঠাট্টা ক’রে উডিয়ে দেয়, এষ্ট্র ওর স্বভাব। ও এ ধরনের কথা বলতে পারে তা আমি ভাবি নি। বললাম-মালতী, এটা কি তোমার মনেব কথা ? জীবনটা এই ক’রে কাটাবে ? এতেই শান্তি পাবে ? আমি যে প্ৰস্তাব করেচি, তাতে তুমি তাহ’লে রাজী নাও ? কারণ আমি এখানে থাকতে পারব না চিরকাল এটা নিশ্চয়। শেষ কথাটা বলতে আমার বুক বেদনান্য টনটন ক’রে উঠল, তবুও বলতে হ’ল। মালতী অনেকক্ষণ বিমুখী হয়ে ব’সে রইল। কাপডেব একটা আঁচল পাকিযে অন্যমনস্ক ভাবে ছেলেমানুষের মত সেটা নিয়ে নাড়া-চাড করলে অনেকক্ষণ । আমার মনে হ’ল ও হয়ত কঁাদছে, নয়ত কান্না চেপে রাখবার চেষ্টা করছে । তাব পরে আমার দিকে একবার চেয়েই আবাব মুখ ফিরিয়ে বললে-কি করব বলুন, আমার অদৃষ্ট ভগবান এই লিখেছেন, এই আমায় করতে হবে। আমার কেমন একটা অভিমান হ’ল, বললাম— এই তাহ’লে তোমার শেষ কথা ? বেশ शांकडी । মালতী সে কথার উত্তর না দিয়ে চুপ ক’রে রইল মাথা নীচু ক’রে। আবার আমার মনে DCD DBLSDD D LLLE EEDB DBBDuDYSSiBB DBB DSK SDLE TKK GLK দুটি জলে ভ’রে এসেছে-কিন্তু অভিমানের আবেগে আমি সেদিকে ফিরেও চাইলাম না । বাত্রে বাইরে ব’সে ভাবলুম। সারারাত্রিই ভাবলুম। মালতীকে ছেডেই যেতে হ’ল শেষ পৰ্য্যন্ত ? ও না এক দিন আমায় বলেছিল--"আখড়ার কত কাজ বাকী আছে মনে নেই ? আমার ওপর কিসের দাবিতে এ কথা বলেছিল ও ? সে দাবি অগ্ৰাহ ক’রে নিষ্ঠুর ভাবে যাব চলে ? যদি না যাই।--তবে এখানে আখড়ার মোহন্ত সেজে চিরকাল থাকতে হবে । এই গ্ৰাম্য বৈষ্ণবদের সঙ্কীর্ণ গণ্ডী ও আচার-সংস্কারের মধ্যে নিজেকে জডিয়ে ফেলতে হবে। নিন্তব্ধ তারা ভরা রাত্ৰি । দীঘির পর থেকে হু-হু হাওয়া বইছে। নীল আকাশের দেবতা, যার ছবি এই বিশাল মাঠের মধ্যে সন্ধ্যার মেঘে, কালবৈশাখীর ঝোড়ো হাওয়ায়, এই রকম তারা ভরা অন্ধকার আকাশের তলে কতবার আমার মনে এসেছে, তাকে পাওয়া আমার হঠাৎ ফুরিয়ে না যায়।--যে দেবতা সকল ধৰ্ম্মের অতীত, দেশকালের অতীত•••ষার বেদী যেমন এই পৃথিবীতে মানুষের বুকে, তেমনি ওই শাশ্বত নীলাকাশে অনন্ত নক্ষত্রদলের মধ্যে•••মৰ্ত্তে ও অমৰ্ত্তে তার বীণার দুই তার • আমার মনে হোমের St.