পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠশালার সকলেরই ওপর সে হুকুম ও প্ৰভুত্ব চালায়, এটা এতদিন আমার চোখে পড়ে নি-সেদিন থেকে সেটা লক্ষ্য করলাম। তবে পেনো যে সেদিন ওর হাত আঁচড়ে দিয়েছিল সে আলাদা কথা । দেশের রাজার বিরুদ্ধেও তো তার প্রজারা বিদ্রোহী হয় ! রোজ রাত্রে বাসায় এসে সন্ধ্যাবেল পরোটা গড়ি। দু-একদিন পরে সন্ধ্যাবেলা ময়দা মাখছি। এক রান্নাঘরে বসে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার বেশী নয়, একটা হ্যারিকেন-লণ্ঠন জলছে ঘরে । কার পায়ের শব্দে মুখ তুলে দেখি ঘরের মধ্যে দাড়িয়ে হিরন্ময়ী। শশব্যান্তে উঠে বিস্মিত মুখে বললাম-হিরণ ! এস, এস, কি মনে ক’রে ? হিরন্ময়ীর একটা স্বভাব গোড়া থেকে লক্ষ্য করেছি, কখনহ প্রশ্নের ঠিক জবাবটি দেবে না । আমার কথার কোন উত্তর না দিয়ে বললে-ময়দা মাখেন বুঝি নিজে রোজ ? ওই বুঝি ময়দা মাখা হচ্ছে ? আমি বিপন্ন হয়ে পড়লুম-চোদ্দ বছরের মেয়েকে পাড়াগায়ে বড়ই বলে । আমার কাছে এ রকম অবস্থায় আসাটা কি ঠিক হ’ল ওর ? এসব জায়গার গতিক আমি জানি তো । বললাম।--তুমি যাও হিরণ, পড গে। হিরন্ময়ী হেসে বললে-তাড়িয়ে দিচ্ছেন কেন ? আমি যাব না-এই বসলাম । বেজায় একগুয়ে মেয়ে, আমি তো জানি ওকে । বললে--একটা অঙ্ক কষে দেবেন ? না। -থাক, একটা গল্প বলুন না !•ও, আপনি বুঝি ময়দা মাখবেন এখন ! সরুন, সরুন দিকি । আমি মেখে বেলে দিচ্ছি। কি হবে রুটি, না লুচি ?--আপনি এই পিাড়িটাতে বসে শুধু গল্প कभ । সেই থেকে হিরন্ময়ীর রোজ সন্ধ্যাবেলা আমাকে সাহায্য করতে আসা চাই-ই । মৃদু। প্ৰদীপের আলোতে হাসি-হাসি মুখে সে তার খাতাখানা খুলে নামে অঙ্ক কষে-কাজে কিন্তু সে আমার রুটি-পরোটা তৈরী ক’রে দেয়। কিছুতেই আমার বারণ শোনে না-ওর সঙ্গে পারব না ব’লে আমিও কিছু আর বলি নে। ওর মায়ের বারণও শোনে না, একদিন কথাটা আমার 奪忙a c?団 | BDBDB BBBD DDDS DBBBBDB BTLDDS DDD uDB DuDYDDS DBD BD DD Dm DBD DLD DS SBB DBYS LLLLL হিরন্ময়ীকে বললাম-শোন হিরণ, আমার এখানে সন্ধ্যাবেলা আর এস না, যখন তোমার মা বকেন। মার কথাটা অন্ততঃ তোমার মানা উচিত। বুঝলে ? পরদিন হিরন্ময়ী সত্যিই আর এল না । আমার সন্ধ্যাটা কেমন যেন ফাঁকা হয়ে গিয়েছে ওয়া না আসাতে, সেদিন প্ৰথম লক্ষ্য করলাম। সাত-আট দিন কেটে গোল-হিরন্ময়ী Sr.