আসিয়াছিলাম হয়ত এই আনারউন্নিসা আমার চেয়ে খুবই সুন্দরী। তাহা না হইলে সে আমাকে তোমার হৃদয়ের মধ্য হইতে এরূপ ভাবে সরাইয়া দিবে কেন?
সুজা বেগ সেই কক্ষ মধ্যে পদচারণা করিতে করিতে বলিলেন—“এখন তোমার মনের অভিপ্রায় কি বল দেখি?”
বাহারবানু। তুমি এখনি আমার সঙ্গে আরামবাগে চল।
সুজা। হইতেই পারে না। সুলতান দারা লাহোর হইতে আজ ফিরিয়া আসিয়াছেন। আসিয়াই আমাকে তলব করিয়াছিলেন। আমিও দুর্গের মধ্যে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলাম। তিনি আবার আমাকে সন্ধ্যার পর যাইতে বলিয়াছেন। সুতরাং তোমার সঙ্গে আরামবাগে যাওয়ার সময় আমার নাই।
বাহারবানু কিয়ৎক্ষণ কি ভাবিল। চিন্তাপীড়িত ভাবে তাহার ওষ্ঠাধর দংশন করিতে লাগিল। তারপর একটা কঠোর হাস্যের সহিত বলিল— “আবার দারার সঙ্গে মাঝামাখি করিতেছ?”
এই কথা শুনিয়া নবাব সুজা বেগ—চকিতভাবে কক্ষের চারিদিকে চাহিয়া—বাহারের হাতখানি সশঙ্কিতভাবে টিপিয়া দিয়া বলিলেন—“চুপ! দেওয়ালেরও কাণ আছে।”
বাহারবানু বোধ হয় আরও কিছু বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু সুজার এই ঈঙ্গিত যেন তাঁহার বাক্যকথনেচ্ছু ঠোঁট দুটীকে খুব জোরে চাপিয়া ধরিল।
সে কেবলমাত্র বলিল—“ভাল, এখন আমি বিদায়
১১৯