পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । “আবার ষাহার সামর্থ আছে, তাহার ইচ্ছা নাই । যাহার ক্ষুধা বেশী, তাহার খাদ্যের অভাব ; যাহার প্রচুর খাদ্য আছে, তাহার আবার ক্ষুধার অভাব । ধনীর সন্তানগণ, প্রায়ই অশিষ্ট ও অনাবিষ্ট ; পক্ষান্তরে, দরিদ্র বালকগণ, প্রায়ই শিষ্ট, শান্ত এবং উৎসাহ ও উদ্যমপূর্ণ। এক বৎসর শস্যহানি হইলে, পর বৎসর প্রচুর শস্ত জন্মে। এইরূপ এক দিকের অভাব অন্য দিকের প্রাচুর্যে দূরীভূত হয় । জগতের এই নিয়মানুসারে, যোগমায়ার পুত্ৰগণ যেমন সাধু প্রকৃতি, তেমন বিষ্ঠাশিক্ষায় যত্নশীল ছিল । তাহাদের মধ্যে, ষে, ষে শ্রেণীতে পড়িত, সে, সেই শ্রেণীর সর্ণব প্রধান ছাত্র বলিয়া পরিগণিত হইয়াছিল । শিক্ষক মহাশয়ের বলিতেন, কালে উহার দেশের মধ্যে এক একটি ‘রত্ব হইবে । মহামায়া ও শৈলজায়ার পুত্ৰগণ নিতান্ত অশিষ্ট, অভদ্র, অশান্ত ও অহঙ্কারী এবং লেখাপড়ায় একান্ত অনাবিষ্ট ছিল । দেশের সকল লোকে যোগমায়ার পুত্রগণকে প্রশংসা করিত ; মহামায়া ও শৈলজায়ার কর্ণে, তাহ শেলের স্যায় বিদ্ধ হইত। দুর্গানাথ ও যোগমায়, উহাদের চক্ষুঃশূল হইয়া উঠিল । দুর্গানাথের সৰ্ব্বনাশসাধনষ্ট, তাহাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হইল। সময় সময় বোগমায়া, দুর্গানাথকে বলিতেন, “দেখ, লক্ষণ বড় ভাল নয়।” দুর্গানাগ বলিতেন, “কোনও চিন্তা করিও না, ভগবান আছেন " কেবল অর্থ থাকিলে হয় না,—অর্থ উচিত মত ব্যয় ও রক্ষণের শক্তি থাকা চাই । কালীনাথ ও রাধানাথ উপাৰ্জ্জনশীল $ 8