পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। প্রায়ই ঘটে না ; তাহারা মরমে মরিয়া পিতৃগৃহে বাস করেন। হায় ! তাহাদের মৰ্ম্মান্তিক যাতনা দশনে পাষাণও বিগলিত হয় । বোধ হয়, নিতান্ত অভিশপ্ত কন্যাগণই, এবম্বিধ পাত্রে সমপিতা হন । জামাতা শ্বশুরালয়ে আসিলে, অর্থের প্রলোভনে, তাহাকে কিয়দিবস রাখিতে হয় ! ধনবতী স্ত্রীই, তাহার অধিকতর ভালবাসার পাত্রী, আর যে অর্থহীন, তাহার ভাগ্যে স্বামী-দর্শন তুর্লভ | দাম্পত্য-প্রেমের পরাকাষ্ঠী প্রদর্শিত হয় ! ধন্য সমাজ । ধন্য ইহার ধুবুন্ধরগণ ! তোমরা আবার এমন পাত্রে কন্যাদান করিয়া, কৃতাৰ্থ হও ; তোমাদের বাহাদুরীর সীমা নাই ! তোময় “বাহব৷” পাইবার যোগ্য ! হায় ! আমি আর কত সহ্য করিব ! এক্ষণে, যাতনা অসহনীয় হইয়াছে ! হায় ! চিত্ত-প্রীতিকর অতি অল্প পদার্থই দেখিতে পাই ! এক একটি দৃশ্বে, আমার হৃদয়ে যেন এক একটি শেল বিদ্ধ হইতেছে! সমাজ ! কুলীনকন্যাগণের দিকে একবার দৃষ্টিপাত কর । কুলীন-কামিনী, যৌবনে যোগিনী সাজিয়াছেন । কোথায় পতি ! কোথায় দেবর ! কোথায় শ্বশুর ! কোথায় শাশুড়ী ! বিধাতা তাহার জন্য কিছুই স্থষ্টি করেন নাই ! যদিও, পিতা বা ভ্রাতার বহু অর্থ-ক্ষয়ে, স্বামী-লাভ ঘটিল, তথাপি তাহার আবার দশনের অভাব ! অভিমানিনী ভ্রাতৃগৃহে বাস করিতেছেন ; চিরকাল পরমুখাপেক্ষিণী ; যে পৰ্য্যন্ত পুত্র-রত্ন বয়ঃপ্রাপ্ত না হয়, সে পৰ্য্যস্ত ➢ ዓ6: